বাংলাদেশকে দুঃস্বপ্নের আঁধারে ডুবিয়ে নতুন ইতিহাস গড়ল আরব আমিরাত। এই সিরিজের আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে আরব আমিরাতের কোনো জয় ছিলো না। তারা এবার ম্যাচ তো জিতলই, জিতে নিলো সিরিজও। তৃতীয় ও সবশেষ ম্যাচে আজ ৭ উইকেটে জিতেছে তারা।
সিরিজটিতে প্রথমে দুটি ম্যাচ হওয়ার কথা ছিলো, পরে ম্যাচসংখ্যা একটি বাড়ে। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ২৭ রানে জয় পায়। দ্বিতীয় ম্যাচে বহু নাটকীয়তার পর স্বাগতিক দল ২ উইকেট জিতে যায়। টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোর বিপক্ষে এটা তাদের দ্বিতীয় সিরিজ জয়, প্রথমটি আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২০২১ সালে।
বুধবার রাতে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিং বিপর্যয়ের পরও হাসান মাহমুদের ক্যামিওতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬২ রান করে বাংলাদেশ। তানজিদ হাসান তামিমের ১৮ বলে ৪০ রানের ইনিংস সত্ত্বেও পাওয়ারপ্লের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলা দলটি ৮৪ রানে পৌঁছতে হারায় আরও ৪ উইকেট।
জাকের আলী শেষদিকে লড়াইয়ের চেষ্টা করেন। ৪১ রানের ইনিংসে দলকে ১২৮ রানে রেখে আউট হন তিনি। এরপর শরিফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদের দারুণ ক্যামিওতে বাংলাদেশ ১৬২ করতে সক্ষম হয়। আরব আমিরাতের হয়ে হায়দার আলী নেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট পান মতিউল্লাহ খান ও সাঘির খান।
১৬৩ রানের লক্ষ্য দিয়ে ১৪ রানে আরব আমিরাতের উদ্বোধনী জুটি ভেঙেছিলো বাংলাদেশ। শরিফুল ইসলাম তুলে নেন সফরকারীদের সেরা ব্যাটার মুহাম্মদ ওয়াসিমের উইকেট। ৬ বলে ৯ রান করে ফেরেন দলপতি।
মুহাম্মদ জোহাইব ব্যক্তিগত ২৯ ও রাহুল চোপড়া ১৩ রান করে মাঠ ছাড়েন। ততক্ষণে ১০ ওভারে ৭৯ রান করে ফেলে তারা। এরপর আলিশান শারাফু ও আসিফ খানের ব্যাটে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাদের। ৫ বল হাতে রেখে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেওয়া শারাফু ৪৭ বলে ৫ চার ও ৩ ছয়ে ৬৮ রান অপরাজিত থাকেন। আসিফ খান ২৬ বলে ৫ ছয়ে করেন ৪১।
লজ্জার হার নিয়ে অধিনায়ক লিটন বলেন,‘ অবশ্যই প্রত্যাশিত নয়। আমরা যখন এখানে এসেছি, সবসময় জিততেই চেয়েছি। তার পরও, পরাজয় জীবনেরই অংশ। ক্রিকেটে কখনও কখনও প্রতিপক্ষও ভালো খেলে। তাদেরকে কৃতিত্ব দিতে হয়।
আগের ম্যাচে ২০৫ রান করে হারের পরও দুই দফায় তিনি বলেছিলেন, শিশিরের প্রভাবে হেরেছে তার দল। শেষ ম্যাচে ১৬২ রানের পুঁজি নিয়েও তার কণ্ঠে একই কথা। আমরা কিছু ভুল আজকে করেছি ব্যাটিংয়েও। এই উইকেটে ও কন্ডিশনে আমাদের প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স হয়নি। তিন ম্যাচেই আমরা দ্বিতীয় ইনিংসে বল করেছি। শিশিরই মূল ব্যাপার ছিল, আমার মতে।
শেষ নয় এখানেই। পরে আমিরাতের কৃতিত্বের প্রশ্নেও আবার বললেন শিশিরের কথা।‘তারা সত্যিই ভালো খেলেছে। আজকে প্রথম ভাগে তারা ভালো খেলেছে। ভালো বোলিং করেছে তারা, এজন্য বেশি রান করতে পারিনি আমরা। তবে ব্যাটিংয়ে কিছুটা শিশিরের সুবিধা পেয়েছে তারা।
