সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলেন কিংবদন্তি দৌড়বিদ ফৌজা সিং। গতকাল সোমবার (১৪ জুলাই) সড়ক দূর্ঘটনায় ১১৪ বছর বয়সে মারা গেছেন তিনি। ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরুর তিন বছর আগে জন্ম হয়েছিল ফৌজা সিংয়ের। জন্মের ঠিক ১০০ বছর পর ২০১১ সালে ম্যারাথনে দৌড় সম্পন্ন করে বিশ্বজোড়া খ্যাতি অর্জন করেছিলেন তিনি।
ফৌজা সিং গতকাল পাঞ্জাবের জলন্ধর জেলায় নিজগ্রাম বিয়াসের রাস্তায় হাঁটতে বের হয়েছিলেন। এ সময় একটি অজ্ঞাত যানবাহনের ধাক্কায় মারাত্মক আঘাত পান এই কিংবদন্তি দৌড়বিদ। পরে বার্তা সংস্থা পিটিআই তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে। ‘টার্বানড টর্নেডো’ খ্যাত ফৌজা গত পহেলা এপ্রিল ১১৪তম জন্মদিন পালন করেন।
১৯১১ সালের এপ্রিলে বিয়াসের এক কৃষক দম্পতির ঘরে জন্ম ফৌজা সিংয়ের। চার সন্তানের সর্বকনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। স্ত্রী গিয়ান কৌরের মৃত্যুর পর ১৯৯৩ সালে এক ছেলের সঙ্গে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান তিনি। কিন্তু করোনা মহামারির সময় দেশে ফিরে যান তিনি। কয়েক বছর আগে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, শৈশবে পা দুটি বেশি চিকন থাকায় হাঁটতে পারতেন না তিনি, ‘শৈশবে আমি খুবই দুর্বল ছিলাম। পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত আমার হাঁটতে সমস্যা হতো কিন্তু এরপর আমি ক্ষেতে সময় কাটাতে শুরু করলাম এবং আমার পরিবারের সাহায্য আর ওয়াহেগুরুর (শিখধর্মে স্রষ্টার নাম) কৃপায় আমি হাঁটতে শুরু করলাম।’
ইংল্যান্ডে থাকার সময়, ফৌজা ইলফোর্ডে নিজের বাড়ির আশেপাশের পাবলিক পার্কে দীর্ঘ পথ হাঁটা ও দৌড়ানো শুরু করেন। পরে ম্যারাথন কোচ হরমন্দর সিংহের সঙ্গে পরিচয়ের পর, তিনি ২০০০ সালের এপ্রিল মাসে ৮৯ বছর বয়সে লন্ডন ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করেন এবং ৬ ঘণ্টা ৫৪ মিনিটে দৌড় শেষ করেন, যা সিনিয়র বয়স ক্যাটাগরিতে আগের বিশ্ব রেকর্ডের চেয়ে ৫৮ মিনিট কম।
ইংল্যান্ড থেকে টেলিফোনে হরমন্দর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, ‘লন্ডন ম্যারাথনের আগেও তিনি যেকোনো আবহাওয়াতেই অনুশীলন করতেন। ‘ব্লিস’ নমের একটি চ্যারিটি সংস্থা ছিল, যা নবজাতকদের জন্য অর্থ সংগ্রহ করত এবং তার পুরো কর্মজীবনে তিনি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন চ্যারিটি সংস্থাকে সমর্থন দিয়ে গেছেন।’
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩

















