সিডনী টেস্টে ১৮৫ রানে অল আউট ভারত

সিডনি টেস্ট এবং শেষ টেস্টে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেন ভারতের অধিনায়ক জসপ্রীত বুমরাহ। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত কাজে দেয়নি। দুই ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল এবং কে এল রাহুল পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে শুরটা চমৎকার করে তুলতে। এমনকি পুরো ভারত দলই ব্যর্থ হয়েছে মাঠে টিকে থাকতে। মাত্র ১৮৫ রানে অল আউট হয়ে গেছে ভারত। তবে কিছুটা ভালো লাগা হয়তো থাকবে কারণ প্রথম দিনেই অস্ট্রেলিয়া ১ উইকেট হারিয়েছে।  

প্রত্যাশা অনুযায়ী শুরুটা দারুণ খেলতে পারেনি ভারতীয় ওপেনাররা। মাত্র ১৪ বল খেলে চার রানে আউট হন রাহুল। অন্যদিকে ২৬ বল খেলে যশস্বীর সংগ্রহ মাত্র ১০ রান। ক্রিজে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটালেও ২০ রান করে আউট হয়ে যান দলে ফেরা শুভমান গিল।

এরপর ব্যাটিংয়ে নামেন বিরাট কোহলি। ভারতের স্কোর তখন ২ উইকেট হারিয়ে ১৭ রান। এমন পরিস্থিতিতে কোহলিকে হারালে সমস্যা আরও বাড়তে পারতো ভারতের। কোহলির খেলা ইনিংসের প্রথম বলটি করেন স্কট বোল্যান্ড। অফ স্টাম্পের সামান্য বাইরে থাকা বলে খোঁচা দেন কোহলি। বল চলে যায় স্লিপে দাঁড়ানো স্টিভেন স্মিথের হাতে। তিনি ক্যাচ ধরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। পুরো অস্ট্রেলিয়া দলও উদযাপন শুরু করে দিয়েছে ততক্ষণে।

কিন্তু মাঠের আম্পায়ার সৈকত নিশ্চিত ছিলেন না। তিনি তৃতীয় আম্পায়ার জোয়েল উইলসনের সাহায্য নেন। রিপ্লেতে দেখা যায় স্মিথ ক্যাচ নিলেও বল মাটিতে লেগেছে। যে কারণে নট আউটের সিদ্ধান্ত জানান উইলসন। অবশ্য শূন্য রানে জীবন পাওয়া কোহলি ইনিংস বড় করতে পারেননি । দিনের দ্বিতীয় সেশনে ৬৯ বলে ১৭ রান করে ওই বোল্যান্ডের বলেই স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন।

ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ইনিংস ঋষভ পন্তের। ৯৮ বলে ৪০ রান করেন তিনি। একাধিকবার অজি পেসারদের বলে আঘাত পান তিনি। তা সত্ত্বেও ইনিংস গড়ার চেষ্টা করেছিলেন। তবুও ইনিংস আর দীর্ঘ করতে পারেননি। শেষদিকে ভারতের ইনিংসের রান ১৫০ এর গণ্ডি পার করেন অধিনায়ক বুমরাহ নিজে। মাত্র ১৭ বলে ২২ রান করেছেন। তিনটি বাউন্ডারির পাশাপাশি একটি ছক্কাও আসে তার ব্যাট থেকে। ৭২ দশমিক ২ ওভারে ১৮৫ রানে অল আউট হয় ভারত।  

অজি বোলারদের মধ্যে স্কট বোল্যান্ড নেয় সর্বোচ্চ ৪টি এবং মিচেল স্টার্ক ৩টি উইকেট শিকার করেছেন।

এরপরে অস্ট্রেলিয়া ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৩ ওভার খেলার সুযোগ পায়। কারণ প্রথম দিনের নির্ধারিত ওভার ও সময় ততক্ষনে শেষ। ৩ ওভার খেলে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৯ রান সাথে হারিয়েছে উসমান খাজার উইকেট। এতে কিছুটা স্বস্তি হয়তো আসতে পারে ভারত শিবিরে। তবে ম্যাচে যে তারা পিছিয়ে গেছে তা হয়তো টের পাওয়া যাচ্ছে।