ইংল্যান্ড-ভারতের মতো হাই-ভোল্টেজ টেস্ট ম্যাচে আম্পায়ারিং করা মানেই এক বিশাল চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জই দারুণভাবে সামলেছেন বাংলাদেশের শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। এজবাস্টনে চলমান টেস্টে তার একের পর এক সঠিক সিদ্ধান্তে মুগ্ধ ক্রিকেটবিশ্ব, প্রশংসা করেছেন খ্যাতিমান ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে।
ম্যাচজুড়ে সৈকতের আম্পায়ারিং ছিল দারুণ নির্ভুল ও সাহসী। মোট ১০ বার তার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করা হলেও মাত্র ২টি সিদ্ধান্ত বদলাতে হয়েছে, বাকি ৮টি সিদ্ধান্তই প্রমাণ করেছে তার পেশাদারিত্ব ও ক্ষুরধার নজর।
বিশেষ করে ম্যাচের পঞ্চম দিনে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বেন স্টোকসকে এলবিডব্লিউ আউট দেওয়ার সিদ্ধান্তে আলোচনায় আসেন সৈকত। ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে স্টোকস এলবিডব্লিউ হলে রিভিউ নেন। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, সৈকতের সিদ্ধান্ত ছিল নিখুঁত। এর আগেও তিনি একাধিক কঠিন মুহূর্তে সঠিক সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।
এই ম্যাচ শেষে ‘এক্স’ (সাবেক টুইটার)-এ হার্শা ভোগলে লিখেন, “এই ম্যাচে আম্পায়ারিং দুর্দান্ত হয়েছে। আপনি ক্রিস গ্যাফেনির কাছ থেকে স্ট্যান্ডার্ড আম্পায়ারিং প্রত্যাশা করবেন, তবে শরফুদ্দৌলা সৈকত ছিলেন দুর্দান্ত।”
আইসিসির এলিট প্যানেলে যুক্ত হওয়া প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে সৈকত ইতোমধ্যেই দেশের গর্বে পরিণত হয়েছেন। এবার তার ধারাবাহিক পারফরম্যান্স বিশ্বমঞ্চেও প্রশংসিত হচ্ছে। চাপের মধ্যেও নির্ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতা তাকে ভবিষ্যতের অন্যতম সেরা আম্পায়ার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চলেছে।
বাংলাদেশ ক্রিকেটে যেখানে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সই আলোচনায় থাকে, সেখানে একজন আম্পায়ারের এমন প্রশংসা দেশের জন্যও বিশেষ সম্মান।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩














