সিলেট টেস্ট শুরুর আগে বাংলাদেশের পেসার নাহিদ রানাকে নিয়ে একটু বেশি আলোচনাই হয়েছিল! তরুণ স্পিডস্টারকে নিয়ে চর্চায় কিছুটা আড়ালে পড়ে গেলেও ব্লেসিং মুজারাবানি। এই পেসার সিলেটের বাউন্সি উইকেটে এক্স ফ্যাক্টর হতে পারেন কে না জানতো! ৬ ফুট ৮ ইঞ্চি উচ্চতার এই পেসারের গতি আর বাউন্স সিলেটের উইকেটে ব্যাটারদের দুঃস্বপ্ন হলো ঠিকই।
সিলেট টেস্টে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে ব্যর্থতার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ের চেয়ে ৮২ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিংয়ে নেমে ২৫৫ রানে গুটিয়ে যায় টাইগাররা।
ফলে দুই ইনিংসেই দারুণ বোলিংয়ের পর ১৭৪ রানের লক্ষ্য পেয়েছে জিম্বাবুয়ে। তবু এই ম্যাচ জিততে হলে জিম্বাবুয়েকে রেকর্ড গড়তে হবে। আর দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণ বোলিংয়ে ইনিংসে নিজের ষষ্ঠ উইকেট নিলেন ব্লেসিং মুজারাবানি।
বাংলাদেশের শেষ ব্যাটার হিসেবে জাকের আলি ১১১ বলে এক ছক্কা ও চারটি চারে ৫৮ রান করেন জাকের। এছাড়া মুমিনুল ৪৭ ও অধিনায়ক শান্ত ৬০ রান করেন। এছাড়া বাকি সবাই ব্যর্থ। চতুর্থ দিনে ব্যাটিংয়ে নেমে দিনের প্রথম সেশনে ৬১ রানে ৬ উইকেট হারিয়েছে স্বাগতিকরা।
টেস্ট ক্রিকেটে কখনও ১৬২ রানের বেশি তাড়া করে জিততে পারেননি। ১৯৯৮ সালে ১৬২ রানের লক্ষ্যে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়েছিল তারা। এছাড়া একশর বেশি রান তাড়ায় আর দুটি জয় আছে জিম্বাবুয়ের। চতুর্থ ইনিংসে রান তাড়া করে সব মিলিয়েই জিম্বাবুয়ের জয় মাত্র ৫টি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ১৯১/১০
জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংসে ২৭৩/১০
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫৫/১০
জিম্বাবুয়ের টার্গেট ১৭৪ রান।
