এশিয়া কাপ ২০২৫-এর বহু প্রতীক্ষিত সূচি আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই প্রকাশ হতে পারে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম। সামা টিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলার জন্য ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আনুষ্ঠানিক অনুমতি পেয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। ফলে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ আয়োজনের পথে কূটনৈতিক কোনো বাধা আর থাকছে না।
টুর্নামেন্টটি আয়োজিত হতে যাচ্ছে আগামী ৮ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। প্রথম রাউন্ডের পর খেলা হবে সুপার ফোর ফরম্যাটে। এবারের আসরে অংশ নেবে আটটি দল— ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান ও হংকং।
ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের মধ্যে আগে থাকা মতবিরোধও এখন মিটে গেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় মিডিয়া। তাই আয়োজক সংস্থাগুলো এখন টুর্নামেন্টের পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে প্রস্তুত।
ভেন্যু হিসেবে আলোচনায় রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও আবুধাবি। রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ অবস্থান ও আধুনিক অবকাঠামোর কারণে আমিরাতকে সম্ভাব্য আয়োজক হিসেবে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সবুজ সংকেত পাওয়ার পর বিসিসিআই এখন সূচি চূড়ান্ত করার কাজে জোর দিচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য, ২৪ জুলাই ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) বার্ষিক সভা। এতে সভাপতিত্ব করেন এসিসির সভাপতি ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহসিন নকভি। ২৫টি সদস্য দেশের প্রতিনিধি এতে সরাসরি কিংবা ভার্চুয়ালি অংশ নেন।
সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নকভি। তিনি বলেন, “সূচি নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আমরা আশাবাদী, খুব শিগগিরই চূড়ান্ত তারিখ ঘোষণা করা সম্ভব হবে।”
তিনি আরও জানান, এবার ছয় দলের পরিবর্তে আট দলের অংশগ্রহণে এশিয়া কাপ আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।
ভারতের পক্ষে এই সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজীব শুক্লা।
সভায় অংশ নেওয়া সদস্য দেশগুলো ক্রিকেটকে রাজনীতির বাইরে রাখার ব্যাপারে একমত হন। মোহসিন নকভি বলেন, “এটি ছিল অত্যন্ত ইতিবাচক বৈঠক। আমরা সবাই এশিয়ায় ক্রিকেটের উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
পাকিস্তান-ভারত ম্যাচের সূচি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করার আহ্বান জানান তিনি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তান, ভারত, বাংলাদেশ, সংযুক্ত আরব আমিরাত, আফগানিস্তান, ওমান, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া ও উজবেকিস্তানের প্রতিনিধিরা।
