আবার সেমিফাইনাল! আবার দক্ষিণ আফ্রিকা! মানসিকভাবে একটু হলেও আফগানিস্তানকে এগিয়ে থাকতে পারার কথা। কারণ আফগানিস্তানের বড় সঙ্গী ছিল পরিসংখ্যান। সেমিফাইনাল শুনলেই যেন দক্ষিণ আফ্রিকার বাঘটা বিড়ালের মত লেজ গুটিয়ে অসহায়ের মত হয়ে যায়। বিপরীতে যেই দলই থাকুক। এমনও কৌতুক আছে, দক্ষিণ আফ্রিকাকে অন্যান্য সময়ে হারানোর একটাই পথ; ওদের কানে কানে বলে দেয়া, এটা সেমিফাইনাল!
হ্যানসি ক্রনিয়ে, গ্রায়েম স্মিথ, শ্যন পোলকের মত দুর্দান্ত অধিনায়কেরা সেমির গেরো খুলতে পারেননি। কিন্তু এবার এইডেন মার্করাম এর ব্যতিক্রম। অধিনায়ক হিসেবে এরইমধ্যে মার্করামের দক্ষতা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। এবারের আসরে এখনো অপরাজিত আছে দক্ষিণ আফ্রিকা। মার্করাম নিজে সামনে থেকে লড়াই করেছেন ব্যাট হাতে। নিয়মিত বোলারের পরিবর্তন, স্পিনারদের ব্যবহার, ফিল্ডিংয়ে অসম্ভব দারুণ কাজ দিয়ে নজর কেড়েছেন মার্করাম।
মার্করামের এই নেতৃত্ব গুণ সেই ২০১৪ সালেই পরিস্কার হয়ে যায়। তাঁর নেতৃত্বেই অনূর্ধ ১৯ বিশ্বকাপ জয় করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৬ ম্যাচে দুই শতক ও একটি অর্ধশতকে তিনি করেন ৩৭০ রান। ওই আসরে ম্যান অব দি সিরিজও হন মার্করাম।
সেই ১৯৯২ বিশ্বকাপ দিয়ে শুরু। দীর্ঘ সময়ে বাইরে থাকার পর দক্ষিণ আফ্রিকার প্রত্যাবর্তনটা হতে পারত রাজকীয়। কিন্তু আলোচিত সেই সেমিতে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে বিদায় নেয় পুরো আসরে দাপট দেখানো ক্রনিয়ের দল। এরপর ৯৯, ২০০৭, ২০১৫ ও ২০২৩ ওয়ান ডে বিশ্বকাপ এবং ২০০৯ ও ২০১৪ সালের টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় নিতে হয় দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
মার্করামের মত নেতৃত্বে সেমির গেরো যখন খোলা গেছে তখন অদম্য হতেই পারে প্রোটিয়ারা।