ইতিহাস গড়তে প্রয়োজন ছিলো ৩০ রান। এই সহজ লক্ষ্যটা মাত্র ৬ ওভার ৩ বলেই পার করেছে বাংলাদেশ। ইতিহাস গড়ে পাকিস্তানের মাটিতে স্বাগতিকদের ১০ উইকেটে হারিয়ে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজ ১-০ তে এগিয়ে গেলো বাংলাদেশ।
লাঞ্চ বিরতি থেকে ফিরে মিরাজের নিচ দিয়ে করা বল ঠেকাতে চেয়েছিলেন শাহিন আফ্রিদি। ব্যাটে না গেলে বল আঘাত করে তাঁর প্যাডে। এলবিডব্লু হয়ে দলীয় ১১১ রানে ফেরেন শাহিন।
সাকিবের হাওয়ায় ভাসানো বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ফাঁদে পড়েন নাসিম শাহ। মিডউইকেটে মুশফিকের হাতে সহজ ক্যাচ দিয়েছেন এই পেসার। ১১৮ রানে ৮ উইকেট হারায় পাকিস্তান।
রিজওয়ানকে ৫১ রানে বোল্ড করে বাংলাদেশের পথের কাঁটা সরিয়ে দিয়েছেন মিরাজ। পাকিস্তান হারিয়েছে নবম উইকেট।
এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলে পাকিস্তানের শেষ ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ আলীকে ফিরিয়েছেন মিরাজ। পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংস থামল ১৪৬ রানে। জিততে হলে বাংলাদেশের প্রয়োজন ৩০ রান।
আজ রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের শেষ দিনের শুরুটা উইকেট দিয়ে করেছে বাংলাদেশ। দিনের দ্বিতীয় ওভারেই পাকিস্তান অধিনায়ক শান মাসুদকে লিটন দাসের ক্যাচে পরিণত করেন হাসান মাহমুদ। অবশ্য মাসুদের ক্যাচ নেওয়া নেওয়া লিটন পরের ওভারে শরীফুলের বলে বাবর আজমের সহজ ক্যাচ ছেড়েছেন।
অবশ্য ইনিংসের শুরু থেকেই বাবর ছিলেন নড়বড়ে। একবার জীবন পেয়েও স্বচ্ছন্দে খেলতে পারছিলেন না। শেষ পর্যন্ত নাহিদ রানার বলে ২২ রান করে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন। তবে পরের ওভারেই সাকিবের বলে স্টাম্পড হয়েছেন প্রথম ইনিংসে ১৪১ রান করা সৌদি শাকিল। টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথমবার শূন্য রানে ফিরেছেন তিনি।
দেখেশুনেই খেলছিলেন শফিক। তবে হঠাৎ করে বড় শট খেলতে গিয়ে সাকিবকে উইকেট দিয়েছেন এই ওপেনার।
সাকিব ২ উইকেট নেওয়ার পর পাকিস্তানের ইনিংসে আঘাত হেনেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তাঁর বলে স্লিপে দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়ে আগা সালমানকে ফিরিয়েছেন সাদমান ইসলাম।
৬ উইকেটে ১০৮ রান নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যায় পাকিস্তান।