রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে বাংলাদেশের কাছে ১০ উইকেটে হারের পর সমালোচনার তীরে জর্জরিত পাকিস্তান ক্রিকেট দল। তাঁদের পারফরম্যান্সের সমালোচনা করছেন দলটিরই সাবেক ক্রিকেটাররা।
সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে লিখেছেন, ‘১০ উইকেটে হারের পর এমন পিচ তৈরি, চারজন ফাস্ট বোলার খেলানো এবং বিশেষজ্ঞ স্পিনারকে বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন ওঠে। এটা আমার কাছে মনে হয় দেশের মাটির কন্ডিশন সম্পর্কে সচেতনতার অভাব।’
অবশ্য বাংলাদেশের কৃতিত্বও দিয়েছেন তিনি। আফ্রিদি বলেন, ‘এসব বললেও আপনি বাংলাদেশকে কৃতিত্ব না দিয়ে পারবেন না। তারা টেস্টের পুরোটা সময় যে ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলেছে।’
পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক রমিজ রাজা নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বলেছেন, ‘দল নির্বাচনে তো সমস্যা আছে, স্পিনার ছাড়াই খেলতে নেমেছেন। আর ফাস্ট বোলিংয়ের যে সুনাম ছিল, সেটি তো শেষ, যেটি শুরু হয়েছে এশিয়া কাপ থেকেই। আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি চলছে। ভারতের বিপক্ষে যে ম্যাচ ছিল, পেস–সহায়ক কন্ডিশনে মার খেয়েছিল। দুনিয়া বুঝে গেছে, এদের ওপর চড়াও হলে এরা সুনাম অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারবে না। কারণ, এদের গতি কমে গেছে। তার ওপর স্কিল নেই ওই পর্যায়ের।’
বাংলাদেশের পেসারদের প্রশংসা করে তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের পেসাররা বরং সুযোগ তৈরি করেছে বেশি। আমাদের পেসাররা পারফরম্যান্সের চেয়ে উইকেট পাওয়ার আনন্দ উপভোগ করতে, একটা নাটিকা তৈরিতেই বেশি মনোযোগী।’
স্পিনার না খেলানোর সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট আরেক সাবেক অধিনায়ক রশিদ লতিফ। ‘কট বিহাইন্ড’ নামে ইউটিউব শোতে তিনি বলেছেন, ‘পার্থ আর ব্রিসবেনেও তো চার পেসার খেলায় না। আপনার তো বিশেষজ্ঞ স্পিনার লাগবে। হ্যাঁ, স্পিনার ছিল, সে (আগা সালমান) ৪৩ ওভার বোলিং করে কোনো উইকেটই পায়নি। সে ভালো বোলার। কিন্তু অন্য প্রান্ত থেকে তো সমর্থন লাগবে।’
সাবেক উইকেটকিপার ব্যাটার কামরান আকমল নিজের ইউটিউবে চ্যানেলে বলেছেন, ‘বাংলাদেশের জন্য কঠিন সময় ছিল, কিন্তু তাদের ব্যাটাররা রান করেছে। তাদের ম্যাচটা বাঁচাতে হতো, তারাই জিতে গেছে। তারা মূলত পাকিস্তান ক্রিকেটের মুখোশ খুলে দিয়েছে। আমার ক্রিকেটারদের দেখে মনে হচ্ছিল, তারা ক্লাব ক্রিকেট খেলছে। আসলে ক্লাব ক্রিকেটাররাও এভাবে খেলে না। তাদের অ্যাপ্রোচ বাজে ছিল। খেলোয়াড়েরা ড্রেসিংরুমে হাসছে। কারণ, তারা জানে, কেউই কিছু জিজ্ঞাসা করবে না। মনে হচ্ছে, খেলছে শুধু মজা করতেই।’