বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে বিপর্যয় কাটিয়ে সমর্থকদের আস্থার প্রতিদান দিতে শুরু করেছে ব্রাজিল। বাংলাদেশ সময় আজ (বুধবার) সকালে পেরুকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে সেলেকাওরা। দলের হয়ে জোড়া গোল করেন রাফিনহা। বাকি দুই গোল আসে আন্দ্রেস পেরেইরা ও লুইস হেনরিকের পা থেকে।
কাতারের মাটিতে অনুষ্ঠিত ২০২২ বিশ্বকাপের পর থেকেই বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। নতুন করে দল গোছাতে গিয়ে ছন্দ হারায় দলটি। প্রশ্ন ওঠে, ‘ব্রাজিল এবার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের বাঁধা টপকাতে পারবে তো? গত দুই ম্যাচে ব্রাজিল যে নৈপুণ্য দেখিয়েছে তাতে সমর্থকরা নতুন করে স্বপ্ন দেখতে পারেন।
স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনায় খেলা রাফিনহাকে কেন্দ্র করে এদিন আক্রমণ সাজায় ব্রাজিল। দলে নেই ভিনিসিয়ূস জুনিয়র। শুরুর একাদশে রাখা হয়নি এন্ড্রিককেও। তবুও ব্রাজিল দাপুটে খেলা উপহার দিয়েছে বড় জয় তুলে নিয়েছে।
১১তম মিনিটে খেলার ধারার বিপরীতে গোল করে পেরু এগিয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু অফসাইডের কারণে তাদের গোল বাতিল হয়ে যায়। ফলে বিপদ থেকে বেচে যায় স্বাগতিক ব্রাজিল।
২৪তম মিনিটে রাফিনহার ভলি পেরুর ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। অবশ্য ১০ মিনিট পরই পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্রাজিলকে এগিয়ে দেন রাফিনহা। আক্রমণ ঠেকাতে গিয়ে পেরুর কার্লোস জামব্রানোর হাতে বল লাগে। পরে ‘ভিএআর’ পরীক্ষা করে রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। স্পট কিক থেকে গোল করতে ভুল করেন নি বার্সা ফরোয়ার্ড।
‘অ্যাটাক ইজ দ্য বেস্ট ডিফেন্স’ ব্রাজিল এই নীতি থেকে সরে এসেছে। এখন ‘আগে ঘর সামলাও পরে আক্রমণে যাও’ নীতিতে চলছেন কোচ দরিভাল জুনিয়র। ফলে প্রথমার্ধে শতকরা ৭৫ ভাগ বল দখলে রাখলেও প্রতিপক্ষের জাল লক্ষ্য করে মাত্র পাঁচবার শট নিয়েছে দলটি।
প্রথমার্ধে মাত্র এক গোল করা ব্রাজিল দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণ বাড়ায়। তারই ধারাবাহিকতায় ৫৪ মিনিটে পেনাল্টি পায় দলটি। এবারও স্পট কিক থেকে গোল করেন রাফিনহা।
২-০ তে এগিয়ে যাওয়া ব্রাজিল যেন নতুন করে জেগে ওঠে। ৭১ ও ৭৪তম মিনিটে পরপর দুই গোল পেয়ে যায় দলটি। আন্দ্রেয়াস পেরেইরা ও লুইস হেনরিক গোল করে কোচ দরিভালকে বড় জয় উপহার দেন।
দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ব্রাজিল আছে টেবিলের চারে। ১০ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট সেলেকাওদের। পয়েন্ট সমান হলেও গোলগড়ে এগিয়ে টেবিলের তিন নাম্বারে উরুগুয়ে। ১০ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে আর্জেন্টিনা।