আগামী শনিবার হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালার মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের ম্যাচ। এই মুহূর্তে খালিস্তান তৎপরতায় অনেক কঠিন সময় পার করছে স্থানীয় প্রশাসন। খালিস্তান স্লোগান, লেখালেখি তো আছেই সেই সাথে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচেও এই জের থাকবে বলে আগেই থেকেই হুমকি দিয়েছিলেন খালিস্তানি নেতা। সেই থেকে মোটামোটি একটা আভাস পাওয়া যাচ্ছে যে, এবারের পুরো বিশ্বকাপ তাড়িয়ে বেড়াবে খালিস্তান আন্দোলন। আর এই হুমকির প্রেক্ষিতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বাতিল করে দেয়ার পরতো বিষয়টা আরও আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
৫ অক্টোবর বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ। আর ৭ অক্টোবর ধর্মশালায় মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। তার আগে স্থানীয় নিরাপত্তা নিয়ে অনেকটা হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। তাদের দেয়া তথ্য মতে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে। কোন অঘটন বা নাশকতার ঘটনা যেনো না ঘটে সে বিষয়ে পুরোদমে কাজ করছে হিমাচল প্রশাসন।
এদিকে নিরাপত্তার চোখ এড়িয়ে ধর্মশালার আশেপাশে চারিদিকে ‘স্প্রে পেইন্ট’দিয়ে ‘খালিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান লেখা হয়েছে। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করার কথা জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। শুধু তাই না, ধর্মশালাতেই রয়েছে চীন অধিকৃত তিব্বত থেকে স্বেচ্ছানির্বাসিত বৌদ্ধ ধর্মগুরু দালাই লামার সদর দপ্তর।
অন্যদিকে গেলো মাসের শেষ দিকে বিশ্বকাপে নাশকতার হুমকি দিয়েছিল ভারতে নিষিদ্ধ শিখ সম্প্রদায়ের সংগঠন ‘শিখস ফর জাস্টিস’। তাদের তরফে বলা হয়েছিলো বিশ্বকাপে উদ্ধোধনী ম্যাচে এর বদলা নেয়া হবে। ওই সংগঠনের নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুন এক বার্তায় এই হুমকি দিয়ে বলেছেন, ৫ অক্টোবর গুজরাটের আহমেদাবাদে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচেই ওই বদলা নেওয়া হবে। এর প্রেক্ষিতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানই বাতিল করা হয়। যেখানে পারফর্ম করার কথা ছিলো আশা ভোসলে, শ্রেয়া ঘোষাল, পঙ্কজ, সামান্থা, অরিজিৎ সিং এর মতো তারকাদের।
গেলো জুনে কানাডায় খালিস্তান আন্দোলনের নেতা শিখ হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যার ঘটনা ঘটে। এর পর থেকেই ভারত ও কানাডার মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয় যার ছোয়া লেগেছে বিশ্ব ক্রিকেটের মঞ্চেও। বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টে এখন দর্শকদের নিরাপত্তার বিষয়টিও কপালে চিন্তার ভাজ ফেলেছে স্বাগতিক দেশকে।