১৩ তম ওয়ানডে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি ২০১৯ বিশ্বকাপের দুই ফাইনালিস্ট। প্রতিশোধের ম্যাচ নিউজিল্যান্ডের। ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই লর্ডসের সেই ফাইনালে সুপার ওভারে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে গিয়েছিল তারা। নিউজিল্যান্ডের ৮ উইকেটে ২৪১ রানের জবাবে ইংল্যান্ড ৫০ ওভারে অলআউট হয়েছিল ২৪১ রানে।
বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ টাই হওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম। এরপর শিরোপা ভাগ্য নির্ধারিত হয় সুপার ওভারে।
এবারের বিশ্বকাপেও দুই ফেভারিট দল ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। তবে ক্রিকেট বোদ্ধাদের অনেকেই ইংল্যান্ডকে ফাইনালিস্ট হিসেবে দেখছে। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড। জনি বেয়ারেস্ট ও ডেভিড মালানের উদ্বোধনী জটিতে ৪০ রান আসলেও শুরুর দিকে চাপে পড়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। ১১৮ রানের ৪ উইকেট হারায় ইংলিশরা। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ডেভিড মালান ১৪ ও জনি বেয়ারেস্ট ৩৩ রান করেন। হ্যারি ব্রুক মারমুখী মেজাজে থাকলেও ১৬ বলে ২৫ রান করে ফিরে গেছেন। এরপর মঈন আলী আউট হয়েছেন ১১ রান করে।
ওয়ানডাউনে নামা জো রুটকে নিয়ে ইনিংস এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব নেন অধিনায়ক জস বাটলার। তবে বাটলার ৪৩ রানে আউট হলে ৭০ রানে ভাঙ্গে এই জুটি। অন্যদিকে স্বাচ্ছন্দে ব্যাটিং করছিলেন জো রুট। ১৩ তম বিশ্বকাপে প্রথম হাফ সেঞ্চুরি করে সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন তিনি। বাটলার ও রুট জুটি ভাঙ্গার পর আর বড় কোন জুটি হয়নি ইংল্যান্ডের। বিশ রানে আউট হয়েছেন লিয়াম লিভিংস্টোন।
সেঞ্চুরির আশা জাগালে ও রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে গ্লেন ফিলিপসের বলে বোল্ড হয়েছেন জো রুট। ৮৬ বলে ৭৭ রান করেছেন তিনি। তার বিদায়ে বড় ধাক্কা খায় ইংল্যান্ড। এরপর ছোট ছোট ইনিংসে শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৮২ রান করে ইংল্যান্ড। ক্রিস ওকস ১১ ও স্যাম কারান ১৪ রানে আউট হয়েছেন। আদিল রশিদ ১৫ ও মার্ক উড ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন। শেষ উইকেট জুটিতে রশিদ ও উড ২৬ বলে ৩০ রান করেছেন। নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে সফল বোলার ম্যাট হেনরি । ৪৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন গ্লেন ফিলিপস ও মিচেল সান্তনার।