২৮৩ রান। ওয়ানডে ম্যাচের রান নয়, শুক্রবার জোহানেসবার্গে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে ভারতের রান। স্বাভাবিকভাবেই এই রানের চাপে প্রতিপক্ষের চিড়ে চ্যাপ্টা হওয়ার কথা। হয়েছেও তাই। ১৪৮ রানে অল আউট হয়ে ১৩৫ রানে হেরেছে স্বাগতিকরা। এর ফলে চার ম্যাচের সিরিজের সফরকারী ভারত ৩-১ ব্যবধানে জয় পেয়েছে। সঞ্জু স্যামসন ও তিলক ভার্মার দুই সেঞ্চুরিতে ভারত ১ উইকেটে করেছিল ২৮৩ রান।
এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল ভারত। প্রথমবার ২০১৮ সালে জয় পেয়েছিল। এদিকে এই হারে টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে লজ্জায় ডুবেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হারের লজ্জা। এর আগে তাদের বড় ব্যবধানে হার ছিল ১১১ রানে। গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই লজ্জায় ডুবেছিল দলটি।
টসে জয় পাওয়ার পর আগে ব্যাট হাতে নেমে ব্যাটিং প্রলয় করে ভারত। বিশেষ করে ওপেনার সঞ্জু স্যামসন ও ওয়ান ডাউন ব্যাটার তিলক ভার্মা প্রোটিয়া বোলারদের কাঁদিয়ে ছেড়েছেন। আর ফিল্ডারদের মাঠের বাইরে থেকে বল কুড়াতে কুড়াতে পরিশ্রান্ত করেছেন। দু’জনে মিলে ১৯ বার বলকে বাতাসে ভাসিয়ে সীমানার বাইরে পাঠিয়েছেন। আর মাটি ঘেঁষে ১৫ বার। স্যামসন ছয়টি বাউন্ডারি ও ৯টি ওভার বাউন্ডারি মেরেছেন। তিলকের ইনিংসে বাউন্ডারি ছিল ৯টি আর ওভার বাউন্ডারি ১০টি। স্যামসন করেছেন অপরাজিত ১০৯ রান। আর তিলক অপরাজিত ১২০ রানে। মাঝে অভিষেক শর্মা ১৮ বলে করেছিলেন ৩৬ রান। তার ইনিংসে দুই বাউন্ডারির পাশাপাশি চারটি ওভার বাউন্ডারি। সব মিলিয়ে ভারতের তিন ব্যাটার ২৩টি ওভার বাউন্ডারি মেরেছেন।
যে মাঠে সঞ্জু স্যামসন ও তিলক ভার্মা ব্যাটিং তাণ্ডব করেছেন সে মাঠই প্রোটিয়া ব্যাটারদের জন্য ভয়ঙ্কর রূপ নেয়। ভারতীয় ব্যাটারদের তাণ্ডবটা যেন তারা ভুলতে পারেননি। ফলে একের পর এক তারা ক্রিজে আসা যাওয়া করতে থাকে। তৃতীয় ওভারের মধ্যে মাত্র ১০ রানে ৪ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। তখনই শেষ হয়ে যায় ম্যাচের সব আকর্ষণ। অপেক্ষায় থাকতে হয় প্রোটিয়াদের হারের ব্যবধানটা জানার। শেষ পর্যন্ত তারা ১৪৮ রানে সব উইকেট হারায়।