স্টেডিয়াম ক্রিকেট খেলা মানে শুধু টিকিট কাটা তা নয়। ওয়ানডে ক্রিকেট মানে প্রায় সারাটা দিন গ্যালারিতে পড়ে থাকা। অনেক স্টেডিয়ামে আবার ছাদ থাকে না, তার মানে আগুন রোদে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকা। রোদ মানেই পিপাসা। আর পিপাসা মানেই অর্থ খরচ।
বিশ্বকাপের উদ্বোধনী দিনে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড ম্যাচে তাপমাত্রা ছিল ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমন কাঠফাটা রোদ ছাদহীন গ্যালারিতে বসে খেলার দেখার ঝুঁকিটা অনেকে নিতে চাননি। ফলে ৪০ হাজার নারীকে ফ্রিতে খেলা দেখার সুযোগ করে দিলেও, এদিন গ্যালারি অনেকটা ফাঁকা ছিল। বিষয়টা স্পষ্ট যে, রোদের কারণে অনেকে গ্যালারিতে আসেন নি। এমন অবস্থায় আয়োজকদের মাথায় হাত। এসব কথা বিবেচনা করে বিশ্বকাপের সব ভেন্যুতে বিনামূল্যে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নিয়েছে আয়োজকরা। বোতলজাত পানি বিনামূল্যে দেওয়া হবে দর্শকদের।
ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ শুরুর আগমুুহুর্তে একটি টুইট করেন বিসিসিআই সচিব জয় শাহ। সেখানে তিনি লেখেন, আমি গর্বের সঙ্গে ঘোষণা দিচ্ছি, ভারতের সব স্টেডিয়ামে দর্শকদের জন্য বিনা মূল্যে বোতলজাত বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করছি আমরা। চলুন, ২০২৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপে অবিষ্মরণীয় স্মৃতি তৈরি করি।’
জয় শাহ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্য গুজরাটে বিশ্বকাপের উদ্বোধনীর পাশাপাশি শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্বকাপের বাকি ৯টি ভেন্যু হচ্ছে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড় স্টেডিয়াম, পুনের মহারাষ্ট্র স্টেডিয়াম, হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়াম, বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম, চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরাম স্টেডিয়াম, কলকাতার ইডেন গার্ডেন্স, লক্ষ্মৌর একানা ক্রিকেট স্টেডিয়াম, দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম ও ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়াম।