হায়দরাবাদে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয় দিয়ে নিজেদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছিলো পাকিস্তান। জয়ের ধারা ধরে রাখতে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে একই ভেন্যুতে মুখোমুখি হয়েছিলো লঙ্কানদের। দিনের শুরুতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তানকে ৩৪৫ রানের টার্গেট দেয় শ্রীলঙ্কা। ৬ উইকেট হাতে রেখেই সেই বড় লক্ষ্যে পৌছায় বাবর আজমের দল। বিশ্বকাপের ৪৮ বছরের ইতিহাসে এতো রান তাড়া করে জেতার নজির এটিই প্রথম। এদিন ম্যান ইন গ্রীনদের জয়ের নায়ক ছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান।
ম্যাচের ৩৬তম ওভারে বোলিংয়ে আসেন লঙ্কান বোলার মাতিশা পাথিরানা। ৮২ রান করে স্ট্রাইকার্স এন্ডে থাকা মোহাম্মদ রিজওয়ানকে বল করেন অফ স্টাম্পের বেশ বাইরে। ওয়াইড লাইনের বাইরের বলটি খেলতে যেয়ে নাগাল পাননি রিজওয়ান। তখনই হন ক্র্যাম্পের শিকার। তাৎক্ষনিক মাঠে ঢোকা ফিজিওর কাছ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ব্যাটিং চালিয়ে যান এই উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান।
পরের ওভারে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার বলে ছয় মেরে আগের ওভারের ক্র্যাম্পটা আবারো অনুভব করেন রিজওয়ান। তাতে ফিজিওর শরণাপন্ন হতে হয় আরো একবার। তবে এতো কিছুর পরেও মাঠ ছাড়েননি তিনি। ব্যথাকে সঙ্গী করে শেষ পর্যন্ত রেকর্ড গড়ে ম্যাচটাই জিতিয়ে দেন পাকিস্তানকে। খেলেন ১২১ বলে অপরাজিত ১৩১ রানের ইনিংস। এই অবিস্মরণীয় ইনিংস নিয়ে তাঁকে প্রশংসায় ভাসান পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটাররা। তাতে এবার যুক্ত হলেন পাকিস্তানের কিংবদন্তী ফাস্ট বোলার ওয়াসিম আকরাম। রিজওয়ানকে দিলেন সিংহহৃদয় তকমা।
ওয়াসিম আকরাম বলেন, ‘রিজওয়ান সিংহহৃদয়ের খেলোয়াড়। ক্র্যাম্প হচ্ছিল তার। নিজেকে নিজেই ঘুষি মারছিল। এটাতেই বোঝা যায় যে সে দেশের জন্য জিততে কতটা মরিয়া ছিল। পাকিস্তানের পুরো দলকে শুভেচ্ছা। তারা আমাদের গর্বিত করেছে।’