অস্ট্রেলিয়াকে বড় হারের লজ্জা দিল দক্ষিণ আফ্রিকা। অজিদের বিপক্ষে ১৩৪ রানের বিশাল জয় পেয়েছে প্রোটিয়ারা। উইকেটরক্ষক ব্যাটার কুইন্টন ডি ককের টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ৩১১ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ডি কক ১০৯ রান করেন। জবাবে ৪০ ওভার ৫ বলে মাত্র ১৭৭ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া।
এবারের বিশ্বকাপে এটি টানা দ্বিতীয় পরাজয় তাদের। আর দক্ষিণ আফ্রিকার টানা দ্বিতীয় জয়।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। উদ্বোধনী জুটিতে অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাকে নিয়ে ১০৮ রান করেন ডি কক। ৩৫ রান করেন বাভুমা। বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো উদ্বোধনী জুটিতে শতরান করলো দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে রসি ভ্যান ডার ডুসেনকে নিয়ে ৫৩ বলে ৫০ রানের জুটি গড়েন ডি কক। ২৬ রান করে আউট হয়েছেন ডুসেন।
তবে দুর্দান্ত ব্যাট করে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ১৯তম সেঞ্চুরি করেন ডি কক। প্রোটিয়াদের দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে বিশ্বকাপে টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করলেন ডি কক। ২০১১ বিশ্বকাপে প্রথমবার টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। হার্শেল গিবস ও ফাফ ডু প্লেসিসের পর প্রোটিয়াদের তৃতীয় ব্যাটার হয়ে বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেঞ্চুরি করার কৃতিত্ব দেখালেন ডি কক। শেষ পর্যন্ত ১০৬ বলে ১০৯ রানে আউট হয়েছেন তিনি। ৮টি চার ও ৫টি ছক্কায় সাজানো ছিল তার ইনিংস।
দলীয় ১৯৭ রানে ডি কক ফেরার পর দক্ষিণ আফ্রিকার রানের চাকা সচল রাখেন এইডেন মার্করাম। ৪৪ বলে ৫৬ রান করে আউট হয়েছেন তিনি। এছাড়া হেনরিচ ক্লাসেন ২৯, ডেভিড মিলার ১৭ ও মার্কো জানসেন ২২ বলে ২৬ রানে ভর করে ৭ উইকেটে ৩১১ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান দক্ষিণ আফ্রিকার। অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক ৫৩ রানে ও ম্যাক্সওয়েল ৩৪ রানে ২টি করে উইকেট নেন।
৩১২ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। ৭০ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় অজিরা। দলীয় ২৭ রানে বিদায় নেন দুই ওপেনার মিচেল মার্শ ও ডেভিড ওয়ার্নার। ৭ রানে মার্শ ও ১৩ রানে ওয়ার্নার আউট হয়েছেন। স্টিভেন স্মিথও ফিরে গেছেন দ্রুত। ১৬ বলে ১৯ রান করেছেন তিনি। এরপর খুব দ্রুত ৩ উইকেট পড়েছে অস্ট্রেলিয়ার। ৫ রানে জন ইংলিশ, ৩ রানে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও ৫ রানে মার্কোস স্টইনিজ আউট হয়েছেন।
৭০ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর ইনিংসের সর্বোচ্চ জুটি গড়েন মার্নাস লাবুশেন ও মিচেল স্টার্ক। সপ্তম উইকেট জুটিতে ৬৯ রান যোগ করেন তারা। ২৭ রানে আউট হয়েছেন স্টার্ক। এরপর লাবুশেন ফিরে গেছেন ৪৬ রানে। কতো কম ব্যবধানে হারতে পারে সেই লড়াই তখন অস্ট্রেলিয়ার। কিন্তু বড় হারের লজ্জা থেকে বাঁচতে পারেনি অজিরা। ৪০ ওভার ৫ বলে ১৭৭ রানে অলআউট হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার কাগিসো রাবাদা ৩টি এবং মার্কো জানসেন, কেশভ মহারাজ ও তাবরিজ শামসি প্রত্যেকে নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।