নিউজিল্যান্ডের কাছে ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে পরাজয়ের পর বাংলাদেশের বিপক্ষে জেগে ওঠে জস বাটলারের দল। ১৩৭ রানের ব্যবধানে টাইগারদের বিপক্ষে জয় ছিনিয়ে নেয় ইংলিশরা। তৃতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হচ্ছে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। অন্যদিকে বাংলাদেশ আর ভারত দুই দলের সাথে হারের পর কোণঠাসা হয়ে পড়েছে রশীদ-মুজিবরা। এখন ইংলিশরা তাদের জয়ের ধারা বজায় রাখবে নাকি আফগানিস্তান বিশ্বকাপের আসরে জয়ের মুখ দেখবে তা দেখতে মুখিয়ে আছে ক্রিকেটপ্রেমীরা।
১৫ অক্টোবর দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হচ্ছে ইংল্যান্ড-আফগানিস্তান। এর আগে ওয়ানডে ক্রিকেটে দু’বার মুখোমুখি হয়েছে ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তান। দু’বারই ইংল্যান্ড জিতেছে। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে ৯ উইকেটে জয় পায় ইংল্যান্ড। আর এর পরে ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে ১৫০ রানে জিতেছে থ্রি লায়ন্সের দল। তাই শক্তিমত্তার দিক নিঃসন্দেহে বলা যায়, এগিয়ে আছে ইংলিশরা।
এদিকে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং ঝড়ে আগের ম্যাচে বিপর্যস্ত হয়েছে বাংলাদেশ। ধর্মশালায় ১০ বছর পর নেমে ৫০ ওভারে ৩৬৪ রান তোলে ইংল্যান্ড। আর এটিই ওই স্টেডিয়ামের দলীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। নিজের প্রথম বিশ্বকাপ ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে টেনে নেন ডেভিড মালান। শেষ পর্যন্ত ওইদিন বিশ্বকাপে নিজেদের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান তোলে থ্র্রি লায়নসরা। গেলো বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে এর চেয়ে ২২ রান বেশি করেছিলো ইংল্যান্ড। এদিকে বাংলাদেশের বিপক্ষে না খেললেও আগামী ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামার কথা রয়েছে বেন স্টোকসের।
অন্যদিকে বিশ্বকাপে ছন্দে নেই আফগানরা। ভারতের সাথে হারের পর বিশ্বকাপে টানা ১৪ ম্যাচ হেরে একেবারে বিপর্যস্ত আফগানিস্তান। তবে দলে ব্যাটিং, বোলিং হিসেব করলে বোলিং এর দিক দিয়ে এগিয়ে আছে আফগানিস্তান। স্পিনই একমাত্র ভরসা রশীদদের। রশিদ খান, মুজিব উর রহমান, মোহাম্মদ নবী দলের বড় ভরসা।
আবার গড় বয়সে এবারের বিশ্বকাপে বুড়োদের দল বলা হচ্ছে ইংল্যান্ডকে। বেশিরভাগেরই বয়স ৩৫ বা এর আশেপাশে। ডেভিড ম্যালান, মঈন আলী ও আদিল রশিদরা দলটার সবচেয়ে বেশি বয়সি খেলোয়াড়। বিশ্বকাপে যে ১৫০ জন ক্রিকেটার খেলতে নামছেন, তাঁদের গড় বয়স ২৯.৩৪ বছর। সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় আফগানিস্তানের নুর মোহাম্মদ।