পাঁচ দিনের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ের পর ম্যাথিউসের বিদায়ী বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার গল টেস্ট ড্রয়ের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে। অবশ্য এই টেস্টে বেশিরভাগ সময়ই চালকের আসনে ছিল টাইগাররা। নিজেদের প্রথম ইনিংসে নাজমুল হোসেন শান্ত-মুশফিকুর রহিমদের জোড়া সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহ গড়েছিল বাংলাদেশ।
তবে গলের ব্যাটিং স্বর্গে ভালোই জবাব দিয়েছে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। তারপরও ১০ রানের ছোট লিড পেয়েছিল সফরকারীরা। সেটার সঙ্গে দ্বিতীয় ইনিংসেও শান্তর দারুণ ব্যাটিংয়ে ইনিংস ঘোষণার সাহস পায় বাংলাদেশ। তখনও দিনের খেলার ৩৭ ওভার বাকি ছিল।
তবে এই সময়ে লঙ্কানদের ৪ উইকেটের বেশি তুলতে পারেনি টাইগাররা। ফলে ড্র দিয়েই আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রে পা রাখল বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার পক্ষে কামিন্দু মেন্ডিস ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা দুজনই অপরাজিত ছিলেন ১২ রানে।
এর আগে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন সেঞ্চুরির পর ৬ উইকেটে ২৮৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। এই ইনিংসের ভীতটা দাঁড় করে দিয়ে গিয়েছিলেন সাদমান ইসলাম। ওপেনিংয়ে নেমে ৭৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এরপর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে দুই টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি করেন তিনি। প্রথম ইনিংসে ১৪৮ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে করলেন অপরাজিত ১২৫ রান।
শান্ত ২০২৩ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টেও দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। বাংলাদেশিদের মধ্যে এছাড়া একই টেস্টের উভয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করার নজির আছে আর একজনের-২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের দুই ইনিংসে যথাক্রমে ১৭৬ ও ১০৬ রান করেছিলেন মুমিনুল হক।
তবে শান্তর পরে নামা মুশফিকুর রহিম আউট হন হাফসেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে থাকতে। বাকিদের মধ্যে মুমিনুল হক ১৪, এনামুল হক ৪, লিটন দাস ৩ ও জাকের আলী ২ রান করেন। শ্রীলঙ্কার হয়ে দুই হাতে বল করা থারিন্দু রাতনায়াকে নেন ৩ উইকেট।
শান্ত ১৪৮ ও মুশফিকুর রহিমের ১৬৩ রানে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ করেছিল ৪৯৫ রান। জবাব দিতে নামা শ্রীলঙ্কা নাঈমের ঘূর্ণিতে ৪৮৫ রানে অলআউট হন। পাথুম নিসাঙ্কা করেন ১৮৭ রান। নাঈম ১২১ রানে নেন ৫ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৪৯৫/১০
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ৪৮৫/১০
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ২৮৫/৬ ডিক্লে.
শ্রীলঙ্কা ২য় ইনিংস ৭২/৪ লক্ষ্যে ছিল ২৯৬
ফলাফল ম্যাচ ড্র
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩

















