টানা ব্যর্থতার পরও লিটনকে দলে ধারাবাহিক সুযোগ দেওয়া নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। তবুও অদৃশ্য কারণে বারবার জাতীয় দলে টিকে যান তিনি। কোন কারণে লিটনকে সুযোগ দেওয়া হয় তার সঠিক উত্তর নেই বিসিবির কাছে। অনেক সমালোচনার মুখে সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে জায়গা হারান লিটন।
তবে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বাজে ফর্মের মাঝেই টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব পান এই উইকেট কিপারব্যাটার। দায়িত্ব পেয়ে প্রথম পাকিস্তান সফরে ব্যর্থ! কিন্তু ফর্মহীন লিটনকে ফের ওয়ানডে দলে সুযোগ দেন নির্বাচকরা।
সাম্প্রতিক সময়ে তার অবস্থা আরও খারাপ। ওয়েস্ট ইন্ডিজে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে তার রান ছিল ২, ৪ ও ০। এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে দুই ম্যাচেই ডাক মারেন। এতো কিছুর পরও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডেতে সুযোগ পান।
অথচ তার পজিশনে দারুণ ফর্মে থাকা নুরুল হাসান সোহান অনেক এগিয়ে। তবুও জাতীয় দলে সুযোগ পাচ্ছেনা এই উইকেট কিপাার। ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ ফর্মে থাকা সোহান এখন রংপুর রাইডার্সের হয়ে গ্লোবাল সুপার লিগে ব্যস্ত।
সেখানে লিটন দাস সবশেষ ১৬ ওয়ানডে ম্যাচে নেই কোন ফিফটি। যার মধ্যে শেষ আট ম্যাচে তার ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ১৩ রান। এক কথায় লিটনের ব্যাট এখন বিপদ সীমার নিচে। আট ম্যাচের রান যথাঃ ০+০+৪+২+০+০+১+৬=১৩।
সবশেষ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪ বলে ডাক মেরে বিদায় নেন। এদিন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৪৫ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে ১ উইকেট হারিয়ে ১০০ পূর্ণ করে বাংলাদেশ।
কিন্তু এরপর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ব্যাটিং লাইন আপ। ম্যাচে জয় থাকবে, হারও থাকবে। কিন্তু একটি হারকে কতটা বাজে, কতটা দৃষ্টিকটু করা যায়, তার প্রকৃত উদাহরণই যেন কলম্বোর প্রেমাদাসায় দেখালো বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। মাত্র ৫ রানের ব্যবধানে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩


















