ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে পাহাড়সম রানের ভীষণ চাপে পড়েছে ইংল্যান্ড। ৬০৮ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে স্বাগতিকরা চতুর্থ দিন শেষে ৩ উইকেটে ৭২ রান তুলেছে। এই টেস্ট ম্যাচ বাঁচাতে কাটাতে হবে শেষ দিনের পুরোটা। জিততে এখনও প্রয়োজন অসম্ভাব ৫৩৬ রান।
অন্যদিকে এ মাঠে প্রথমবার টেস্ট জিতে সিরিজে সমতা ফেরাতে ভারতের প্রয়োজন মাত্র ৭ উইকেট। এর আগে এই মাঠে আট টেস্ট খেলে সাতটিতেই তারা হেরেছে, ড্র হয়েছে অন্যটি।
চতুর্থ দিনের সবচেয়ে শুভমান গিল ছিলেন সফল। প্রথম ইনিংসে ২৬৯ রানের পর এবার ১৬২ বলে ১৬১ রান করেন তিনি। ১৩ চার ও ৮ ছক্কায় গড়া তার ইনিংসটি। ভারতের দ্বিতীয় ও বিশ্বের নবম ক্রিকেটার হিসেবে একই টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি ও সেঞ্চুরির স্বাদ পেয়েছেন তিনি।
তবে একটি জায়গায় তো তিনি অনন্য। একই টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি ও দেড়শ ছোঁয়া ইনিংস টেস্ট ইতিহাসে নেই আর কারো। নেতৃত্বের দ্বিতীয় টেস্টে আরও অনেক কীর্তি গড়েছেন ২৫ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান। এছাড়া জাদেজা অপরাজিত ১১৮ বলে ৬৯ রান করে। ওয়ানডে ঘরানার ব্যাটিংয়ে ৫৮ বলে ৬৫ রান করেন পান্ত।
প্রথম ইনিংসে ৫৮৭ রানের পর সফরকারীরা এ দিন দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে ৬ উইকেটে ৪২৭ রানে। ১ উইকেটে ৬৪ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করে ভারত। কারুন নায়ার ৪৬ বলে ২৬,আগের দিন ২৮ রানে অপরাজিত লোকেশ রাহুল ফিফটি পূর্ণ করেন ৭৮ বলে। এরপর ৮৪ বলে ৫৫ রান করে বিদায় নেন।
চতুর্থ উইকেটে শতরানের জুটিতে ভারতকে এগিয়ে নেন গিল ও পান্ত। ১১০ রানের জুটি ভাঙার পর গিল আরেকটি শতরানের জুটি গড়েন জাদেজাকে সঙ্গে নিয়ে। ১২৯ বলে শতক পূর্ণ করেন তিনি চা-বিরতির আগের ওভারে। টেস্ট নেতৃত্বের প্রথম দুই ম্যাচে এটি তার তৃতীয় সেঞ্চুরি, আর ক্যারিয়ারের অষ্টম। ছক্কায় দেড়শ পূর্ণ করেন গিল ১৫৬ বলে।
জাদেজার সঙ্গে তার জুটিতে আসে ১৭৫ রান। পঞ্চম ক্রিকেটার হিসেবে এক টেস্টে চারটি শতরানের জুটির সঙ্গী হলেন গিল। সাত নম্বরে নেমে নিতিশ কুমার রেড্ডি টিকতে পারেন কেবল দুই বল। ওয়াশিংটন সুন্দারের একটি করে চার ও ছক্কায় লিড ছয়শ ছাড়ানোর পর ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। পরে বোলিংয়েও শুরুটা ভালো হলো জাসপ্রিত বুমরাহকে বিশ্রাম দিয়ে এই ম্যাচে নামা সফরকারীদের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত ১ম ইনিংস: ৫৮৭
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৪০৭
ভারত ২য় ইনিংস: ওভারে ৪২৭/৬
ইংল্যান্ড ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৬০৮) ১৬ ওভারে ৭২/৩
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩


















