সাউদাম্পটনে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে চার উইকেটে হারিয়ে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল ভারত। ২৫৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অলরাউন্ডার দীপ্তি শর্মার অপরাজিত ৬২ রানের ইনিংস সফরকারীদের সহজ জয় এনে দেয়।
সাউদাম্পটনের রোজ বোলে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ২০ রানেই দুই ওপেনারকে হারায় ইংল্যান্ড। অ্যামি জোন্স ব্যক্তিগত ১ ও অপর ওপেনার ট্যামি বিউমন্ট ৫ রান করে আউট হন। উভয়েই পেসার ক্রান্তি গৌড়ের শিকার হন।
প্রাথমিক ধাক্কা সামলে ইংল্যান্ডকে স্বস্তি এনে দেন ন্যাট স্কিভার-ব্রান্ট ও এমা ল্যাম্ব। এই জুটির ব্যাটে আসে ৭১ রান। কিন্তু পর পর দুই ওভারে এই ব্যাটারকে ফিরিয়ে দেন স্নেহ রানা। দলীয় ৯১ রানে ল্যাম্ব আউট হওয়ার পর ৯৭ রানে ফেরেন ব্রান্ট।
দলীয় ৯৭ রানে চার উইকেট হারানো স্বাগতিক দলকে টেনে নিয়ে যান সোফিয়া ডাঙ্কলি ও অ্যালিস ডেভিডসন-রিচার্ডস। এদের ব্যাটে আসে যথাক্রমে ৮৩ ( ৯২ বল) ও অ্যালিস ডেভিডসন-রিচার্ডস ৫৩ রান (৭৩)।
ডাঙ্কলি-ডেভিডসন-রিচার্ডস জুটি ১০৬ রান যোগ করলেও শেষদিকে ইংল্যান্ডের স্কোর ছিল অপেক্ষাকৃত কম। তবে শেষ তিন ওভারে তারা ৩৬ রান তুলে নেয়। শেষ পর্যন্ত তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ২৫৮ রান।
জবাবে খেলতে নেমে স্মৃতি মান্ধানা ও নবাগতা প্রতীকা রাওয়ালের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৪৮ রান। মান্ধানা ২৮ করে ফেরেন লরেন বেলের বলে। এরপর রাওয়াল ৩৬ করে আউট হন স্যাফি একলস্টোনের বলে।
হরলিন দেওল রান আউট হয়ে ফিরে গেলে ভারতের রান প্রবাহ কমে যায় এবং পরবর্তী ১০ ওভারে মাত্র ৩৩ রান আসে। ক্যাপ্টেন হরমনপ্রীত কৌরও ব্যর্থ হন, ১৭ রান করে এলবিডব্লিউ হন চার্লি ডিনের বলে। এরপর দীপ্তি শর্মা একপ্রান্ত ধরে রেখে দ্রুত হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন (৫২ বলে), যা তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্রুততম। দীপ্তির হাফ সেঞ্চুরিতে ছিলো এক ছক্কা ও দুই বাউন্ডারি।
ম্যাচের শেষদিকে জেমিমাহ রড্রিগেস ও ঋচা ঘোষ দ্রুত ফিরে গেলে ২৭ বলে দরকার ছিল ২৪ রান। ভারত তখন ম্যাচে হোঁচট খেতে পারে বলে মনে হচ্ছিল। তবে আমনজোত কৌর ২০ রানে অপরাজিত থেকে শর্মার সঙ্গে জুটি গড়ে দলকে জেতান, যা ভারতের ওয়ানডে ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সফল রান তাড়া।
এই সিরিজটি ইংল্যান্ডের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সামনে রয়েছে ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ। তবে বাজে ফিল্ডিং ও মাঝারি মানের ব্যাটিংয়ে এই ম্যাচে তারা চাপে পড়ে যায়। ইংল্যান্ড ফিল্ডিংয়ে বেশ বাজে দিন কাটায়। শর্মা ৪০ রানে থাকাকালীন এলবিডব্লিউ’র আবেদন না করায় তারা মূল্য চুকায়।শেষ দিকে ম্যাচ টান টান উত্তেজনার দিকে গেলেও দিপ্তী শর্মার শান্ত মাথার ব্যাটিং জয় এনে দেয় ভারতকে।
ম্যাচ শেষে ইংল্যান্ড অধিনায়ক ন্যাট স্কিভার-ব্রান্ট বলেন, “ডাঙ্কলি ও ডেভিডসন-রিচার্ডস দারুণ ব্যাট করেছে। ৯৭ রানে চার উইকেট হারানোর পর ৬ উইকেটে ২৫৮ রান দারুণ স্কোর ছিলো। তবে ভারতীয় দল প্রমাণ করেছে এই রানটা আমাদের জন্য যথেষ্ঠ ছিলো না।”
ভারত অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর বলেন, “আমাদের পারফরম্যান্সে আমি খুব খুশি। কিছু সুযোগ মিস করেছি, তবে পরের ম্যাচে আরও ভালো খেলব আশা করি।”
দ্বিতীয় ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে আগামী শনিবার, লর্ডসে। সেই ম্যাচ জিতে সিরিজে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে ইংল্যান্ডের নারীরা।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩


















