অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে সেমিফাইনালের আবেগ কতটা তা স্বীকার করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা।
দক্ষিণ আফ্রিকা তাঁদের আগের চার সেমিফাইনাল হেরে মাঠ ছেড়েছে। এর মধ্যে ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হার অন্যতম।
নিজেদের পঞ্চম সেমিফাইনাল খেলতে নামার আগে প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা বলেন, “আমি মনে করি না যে আপনি এটিকে অস্বীকার করতে পারেন বা এটি পালিয়ে যেতে পারেন। কিন্তু আপনি যদি মনে করেন যে এটি নিজেকে অভিভূত করে তবে কীভাবে সেই উদ্বেগকে মোকাবেলা করতে হবে তার সমাধান বা প্রক্রিয়াও দেওয়া হয়েছে।”
বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার অবাঞ্ছিত রেকর্ডের মধ্যে রয়েছে ২০০৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে পরাজয়, ১৯৯২ সালে ইংল্যান্ডের কাছে বৃষ্টিতে পরাজয় এবং সর্বশেষ ২০১৫ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর পরাজয়। অকল্যান্ডে শেষ দুই বলে যখন জয়ের জন্য পাঁচ রান প্রয়োজন ছিলো তখন প্রোটিয়া বোলার ডেল স্টেইনের বলে কিউই ব্যাটার গ্রান্ট এলিয়ট ছক্কা হাঁকান। আর তাতেই চতুর্থবারের মতো সেমিতে হারের ব্যাথা সহ্য করতে হয় দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
তবে ২৪ বছর আগের এজবাস্টনের হারটাই প্রোটিয়াদের সবচেয়ে হৃদয়বিদারক পরাজয়। বিশ্বকাপে প্রথম টাই হওয়া ম্যাচটিতে গ্রুপ স্টেজে পয়েন্ট টেবিলে উপরে অবস্থান করার সুবাদে অস্ট্রেলিয়া ফাইনালে পৌছে যায়। অজিদের বর্তমান অধিনায়ক প্যাট কামিন্স নিজেও স্বীকার করেছেন যে সেই ম্যাচের ফলাফলটি অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট লোককাহিনীর অংশ।
তবে এবারের বাস্তবতা একেবারেই ভিন্ন। বিশ্বকাপে দূর্দান্ত ফর্মে আছেন প্রোটিয়া ব্যাটাররা। এছাড়াও অস্ট্রেলিয়ানদের চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে তাঁরা। দুই দলই তাঁদের প্রথম পর্বে খেলা নয় ম্যাচের সাতটিতে জিতেছে। তবে নেট রানরেটে অজিদের চেয়ে এগিয়ে তাঁরা।
প্রথম পর্বে লক্ষ্ণৌতে দুই দলের মুখোমুখিতে ১৩৪ রানের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছিলো দক্ষিণ আফ্রিকা।