স্বাধীনতা কাপ ফুটবলে তৃতীয় দল হিসেবে সেমি-ফাইনালে উঠল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেড। মঙ্গলবার বিকেলে মুন্সিগঞ্জে বীর শ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম আবাহনী ১-০ গোলে হারায় মতিঝিল ক্লাব পাড়ার ক্লাবটি। অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন উজবেকিস্তানের খেলোয়াড় মোজাফফরভ।
জয় পেলেও মোহামেডান তাদের সেরাটা খেলতে পারেনি। আবার নিজেদের গুটিয়ে রেখেই খেলেছে চট্টগ্রাম আবাহনী।
ম্যাচের নির্ধারিত ৯০ মিনিটে মোহামেডান যে কয়েকবার আক্রমণে গিয়েছিলো ততবারই তাদের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ান আবাহনীর গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা।
২৪ মিনিটে মোহামেডানের মালির ফরোয়ার্ড সুলেমান দিয়াবাতের শট রুখে দেন জাতীয় দলের সাবেক গোলরক্ষক রানা।
৩৪ মিনিটে আরও একটা সুযোগ তৈরি করেন সুলেমান দিয়াবাতে। আবাহনীর ডিফেন্ডার নাসির উদ্দিন চৌধুরী (আর্মি নাসির) ও রানার যৌথ প্রয়াসের বিপরীতে দিয়াবাতের জন্য শট নেয়া কষ্ট হয়ে দাঁড়ায়। তবুও গোলের চেষ্টা চালিয়েছিলেন দিয়াবাতে। কিন্তু কর্ণারের বিনিময়ে তা প্রতিহত করেন রানা।
৬৪ মিনিটে দূরপাল্লার শট নিয়েছিলেন একমাত্র গোলদাতা মোজাফফরভ। কিন্তু লাফিয়ে উঠে তা প্রতিহত করেন রানা। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছিলো যে, পুরো মাঠে মোহামেডান বনাম গোলরক্ষক রানার মধ্যে খেলা হচ্ছিলো।
নির্ধারিত সময়ে কোন দলই গোল পায়নি। ফলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেসাথে ভাঙে রানার প্রতিরোধের দেয়ালও। ৯৭ মিনিটে উজবেক স্ট্রাইকার মুজাফফরভের বক্সের বাইরে থেকে নেয়া বাকানো শট আর ফেরাতে পারেননি আশরাফুল ইসলাম রানা।
১১৬ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ডের কারণে লাল কার্ড দেখতে হয় চট্টগ্রাম আবাহনীর আরিফকে। ডিফেন্ডার ইয়াসিন খানের ভুলে বল পান মোহামেডানের সাকিব। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে সাকিবকে টেনে মাটিতে ফেলে দেন আরিফ। ফ্রি কিক নিয়েছিলেন মোজাফফরভ। কিন্তু তা রুখে দেন আশরাফুল ইসলাম রানা।
মোহামেডান আরও একটা গোলের সুযোগ পেয়েছিলো। কিন্তু তার নেয়া শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় ১-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে সাদা-কালো জার্সিধারীরা। স্বাধীনতা কাপে মোহামেডান শেষ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো ২০১৪ সালে।