অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ ক্রিকেটে দারুণ জয় পেয়েছে পাকিস্তান। চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে তারা। ভারতের ৯ উইকেটে করা ২৫৯ রান ৪৭ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে টপকে যায় পাকিস্তানের যুবারা।
এ জয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিন ব্যাটার আজান আওয়াইস, অধিনায়ক সাদ বাইগ ও ওপেনার শাহাজাইব খান। ওয়ান ডাউন ব্যাটার আজান আওয়াইস সেঞ্চুরি করেছেন। তার ব্যাটে আসে অপরাজিত ১০৫ রান। অধিনায়ক সাদ বাইগের সঙ্গে তার ১২৫ রানের জুটি। সাদ বাইগ ৬৮ রান করেন। আর শাহাজাইব ৬৩ করেন।
অবশ্য শুরুটা ভালো ছিলো না পাকিস্তানের। ২৬০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দলীয় ৮ রানে বিদায় নিয়েছিলেন ওপেনার শামিল হুসেইন। শুরুর এই ধাক্কা সামলে উঠে সাবলীল গতিতে পাকিস্তান লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে গেছে। শাহবাইজ খান তার ৬৩ রান করতে খেলেছেন ৮৮ বলে। চারটি বাউন্ডারির পাশাপাশি তিনটি ওভার বাউন্ডারি ছিল তার ইনিংসে।
আজান আওয়াইজ অবশ্য একটু সাবধানী ইনিংস খেলেছেন। ১০৫ রান করতে খেলেছেন ১৩০ বল। কোনো ওভার বাউন্ডারি নেই তার ইনিংস, বাউন্ডারি মেরেছেন ১০টি। স্বাভাবিকভাবে ম্যাচ সেরাও হয়েছেন তিনি।
তবে আক্রমণাত্মক ইনিংসের উদাহরণ তৈরি করেছেন সাদ বাইগ। ৫১ বলে ৬৮ রান করতে আটটি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারি মারেন। পাকিস্তানের হারানো দুটো উইকেটই নেন মুরুগান অভিষেক। ৫৫ রান খরচ হয় তার।
এর আগে পাকিস্তান অধিনায়ক টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান। ৪৬ রানের মধ্যে তারা দুই উইকেট হারালে তৃতীয় উইকেটে ওপেনার আদর্শ সিং এবং অধিনায়ক উদয় শরণ দারুণ ব্যাটিং করেন।
পাকিস্তানের পেস বোলারদের হতাশা রান বাড়াতে থাকেন তারা। ৯৩ রানের পার্টনারশিপ তাদের। আদর্শ সিং ৮১ বলে ৬২ রান করেন। তবে অধিনায়ক উদয় শরন একটু সাবধানী ইনিংস খেলেছেন। ৬০ রান করতে ৯৮ বলের মোকাবেলা করেন তিনি। তবে ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন শচীন দাস। ৪২ বলে ৫৮ রান করে দলের সংগ্রহকে সমৃদ্ধ করেন।
পাকিস্তানের মিডিয়াম পেসার মোহাম্মদ জিশান ছিলেন সফল বোলার। ১০ ওভারে ৪৬ রান দিয়ে তিনি চার উইকেট শিকার করেন। দুই পেসার আমির হোসেন ও উবাইদ শাহ মার খেলেও দুটো করে উইকেট নেন।
এ জয়ের ফলে পাকিস্তান দুই ম্যাচ থেকে চার পয়েন্ট নিয়ে গ্রপের শীর্ষে। ভারত দ্বিতীয় স্থানে। তাদের পয়েন্ট ২। আফগানিস্তানের পয়েন্টও ২ হলেও রান গড়ে তারা তৃতীয় স্থানে।