গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর জমে উঠলো দ্বিতীয়ার্ধের খেলা। শুরুতেই সরাসরি লাল কার্ড দেখলেন বসুন্ধরার স্ট্রাইকার রফিকুল ইসলাম। এর পরই গোল করে এগিয়ে যায় মোহামেডান। কিন্তু লিড ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। সমতায় ফিরতে সময় নেয়নি বসুন্ধরা। গোল করেন স্ট্রাইকার রাকিব হোসেন। ৮৬ মিনিটে ডরিয়েলটন গোমেজ গোল করে আনন্দে ভাসান কিংস শিবিরকে। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বসুন্ধরা।
সব মিলিয়ে নতুন মৌসুমের প্রথম শিরোপা ঘরে তুললো বসুন্ধরা কিংস। স্বাধীনতা কাপ ফুটবলের চ্যাম্পিয়ন তারা। এই টুর্নামেন্টে এটি তাদের তৃতীয় শিরোপা। ভাগ বসালো মোহামেডানের সাথে যৌথভাবে সর্বোচ্চ শিরোপা জয়ের রেকর্ডে।
ঘরোয়া ফুটবলে প্রথম বারের মতো মোহামেডান ও বসুন্ধরা কিংসের ফাইনাল। গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে তাই মাঠ ও গ্যালারি উভয় জায়গায় উত্তেজনা। স্বাধীনতা কাপের ফাইনালের প্রথমার্ধে দুই দলের কেউই গোল করতে পারেনি।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে চরম নাটকীয়তা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় বসুন্ধরা কিংস। ৪৮ মিনিটে ১০ জনের দলে পরিণত হয় তারা।
মোহামেডানের মিডফিল্ডার ওমর ফারুক বাবুকে বাজেভাবে ফাউল করার কারণে সরাসরি লালকার্ড দেখেন রফিকুল ইসলাম। আর এই সুযোগে ম্যাচে এগিয়ে যায় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। ৫১ মিনিটে মোজাফফরের কর্নার থেকে হেডে গোল করেন এমানুয়েল।
তবে এই লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি তারা। এক মিনিট পরেই ম্যাচে সমতা আনে বসুন্ধরা কিংস। দারুন গোল করেন রাকিব। এরপর গোল করার চেষ্টা চালিয়েছে দু দলই।
ম্যাচের শেষ দিকে সফল হয় বসুন্ধরা কিংস। ৮৮ মিনিটে গোল করেন ডরিয়েলটন। মীগেলের বাড়িয়ে দেয়া চলতি বলেই দারুন শটে গোল করেন তিনি। উল্লাস বসুন্ধরা কিংসের গ্যালারিতে। এই গোল ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেয়।
ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন বসুন্ধরা কিংসের ফরোয়ার্ড ডরিয়েলটন গোমেজ নাসিমেনতো।
টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন বসুন্ধরা কিংসের ফরোয়ার্ড রাকিব হোসেন।
পরিচ্ছন্ন খেলা উপহার দেয়ায় ফেয়ার প্লে ট্রফি গেছে মোহামেডানের ঘরে।