ইনজুরি থেকে ফিরেই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের প্রথম ম্যাচেই আলো ছড়ালেন কেভিন ড্রি ব্রুইন। তার আলো ছড়ানো পারফরম্যান্সে নিউক্যাসল ইউনাইটেডের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচে নাটকীয় জয় পেয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। পিছিয়ে পড়া ম্যাচে ৩-২ গোলে জয় তুলে নিয়েছে শিরোপা প্রত্যাশী দলটি।
৩৭ মিনিটের মধ্যে তারা ১-২ গোলে পিছিয়ে পড়েছিল। এ সময় ৯ মিনিটের অসম্ভব এক ঝড় দেখেছিল স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকরা।
২৬ মিনিটে বার্নান্ডো সিলভার করা গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি। কিন্তু পরের কয়েক মিনিট দলটির ওপর দিয়ে ঝড় বয়ে যায়। সে ঝড় শেষে গার্দিওলার কপালে চিন্তার ভাঁজও বেড়ে যায়।
৩৫ মিনিটে আলেক্সান্ডার ইসাক ও ৩৭ মিনিটে অ্যান্থনি গর্ডনের দুই গোলে নিউক্যাসল ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। শেষ হয় প্রথমার্ধ। দ্বিতীয়ার্ধও শেষের পথে।
এমন সময় ৭৪ মিনিটে কেভিন ডি ব্রুইন স্কোরশিটে নাম লেখান। সমতায় ফেরে ম্যানসিটি।
শেষ বাঁশি বাজার আগে গার্দিওলাসহ সমর্থকদের আনন্দে ভাসান অস্কার বব। ডি ব্রুইনের চমৎকার পাস থেকে পাওয়া বলকে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পাঠাতে কোনো ভুল করেননি তিনি। ৩-২ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ম্যানসিটি।
ম্যাচের ৬৯ মিনিটে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে এসেছিলেন ডি ব্রুইন। আর তখনই ম্যাচের গতিপথ বদলাতে শুরু করে। ম্যাচ শেষে ডি ব্রুইন বলেন, আমি জানি এখন আমি পুরো সময় খেলার মতো উপযোগী নই। এখন আমি হয়তো ৩০ মিনিট খেলতে পারি। শীত আমার জন্য বেশ সমস্যা তৈরি করছে।’
অস্কার ববের গোলের প্রশংসা করে ব্রুইন বলেন, তার করা গোলটি ছিল দারুণ। অসাধারণ গোল করেছে সে। আমি তাকে দৌড়াতে দেখেছিলাম। যদি সে না দৌড়াত তাহলে আমি বল তাকে দিতে পারতাম না।’
ম্যানচেস্টার সিটির এ জয়কে নাটকীয় বললেও কম বলা যাবে। নিশ্চিত পয়েন্ট হারানোর ম্যাচ ছিল এটি তাদের। তাইতো কোচ গার্দিওলা দারুণ খুশি। তিনি বলেন, এটা সত্যিই দারুণ এক জয়। কখনো কখনো এমন জয় দলের জন্য ভালো।’
এ জয়ের ফলে শিরোপা লড়াইয়ের দৌড়ে ভালোভাবে টিকে থাকলো পেপ গার্দিওলার ম্যানসিটি।
২০ ম্যাচ থেকে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে তারা। সমান ম্যাচ থেকে ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে নেতৃত্ব দিচ্ছে লিভারপুল। আর ৪২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে অ্যাস্টন ভিলা।