১২তম মিনিটে রদ্রির পেনাল্টি গোলের পর ৩৬ মিনিটে স্পেনের দ্বিতীয় গোলটি করেন দানিয়েল ওলমো। ৪০তম মিনিটে রদ্রিগো ব্রাজিলের হয়ে ব্যবধান কমান। ৫০তম মিনিটে সমতা ফেরান মোরেইরা। ৮৭তম মিনিটে রদ্রির দ্বিতীয় পেনাল্টি গোলে ব্যবধান ৩-২ এ নিয়ে যায় স্পেন। ইনজুরির সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে (৯৬) লুকাস পাকুয়েতা ব্রাজিলকে সমতায় ফেরান পেনাল্টি থেকেই।
সাবেক দুই বিশ্বচ্যাম্পিয়নের লড়াইটি ছিলো নাটকীয়তায় ভরা। ম্যাচের ৩৬ মিনিটেই ২-০ গোলের লিড স্পেনের, বিরতির আগে ও পরে দুই গোল শোধ করে ম্যাচটা জমিয়ে তোলে ব্রাজিল। ৮৭ মিনিটে স্পেনটা আরও একটা পেনাল্টিতে ‘লা ফুরিয়া রোজা’রা লিডটা ৩-২ গোলে নিয়ে যাওয়ার পর ইজুরির সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে পেনাল্টি গোলেই শোধ করে সেলেকাওরা।
সব মিলিয়ে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে গোলের পর গোলে জমজমাট এক ফুটবল যুদ্ধ দেখলেন ভক্তরা। এইদিন প্রীতি ম্যাচের মেলা বসলেও ম্যাচের আগেই সব আলো কেড়ে নিয়েছিলো দল দুটি। ভিন্ন মহাদেশের দল হওয়ায় স্পেন ও ব্রাজিলের মুখোমুখি হওয়ার ইতিহাস খুব একটা নেই।
২০১৩ সালে কনফেডারেশন কাপে দুই দলের সর্বশেষ সাক্ষাতটি ছিলো একতরফা। যেখানে ৩-০ তে জয় ছিলো পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের।
সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে ব্রাজিল দল যাচ্ছে একটা পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ল্যাটিন অঞ্চলে ১০ দলের মধ্যে তাদের অবস্থান ষষ্ঠ। ৬ ম্যাচ খেলা ব্রাজিল জয় পেয়েছে মাত্র দু’টিতে। এক ড্রয়ের বিপরীতে পরাজয় তিনটি। এছাড়াও প্যারিস অলিম্পিক বাছাইপর্বেই বাদ পড়েছে অনূর্ধ্ব-২৩ দল।
অন্যদিকে স্পেন রীতিমতো ইউরোপীয় পরাশক্তি। এই অবস্থায় ব্রাজিলের লড়াই তাদের লড়াইটা একতরফা হতে পারে অনেকেই হয়তো এমনটা ভেবেছিলেন। কিন্তু পুনর্জাগনের গান গাওয়া দলটি রীতিমতো চমকে দিয়েছে।