জাতীয় ক্রিকেট লিগ এনসিএলে ছক্কার রেকর্ড গড়ে অপরাজিত ১৪১ রান করলেন আবু হায়দার রনি। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এক ইনিংসে এর চেয়ে বেশি ছক্কা আছে কেবল আর দুজনের। মঙ্গলবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শতরানের সুবাস নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামেন আবু হায়দার।
সেই লক্ষ্য পূরণ করেন তিনি প্রথম বলেই। এরপর আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উছেন তিনি। ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে এই অলরাউন্ডার দেখিয়ে দিলেন ব্যাটের ধার। জাতীয় লিগের শেষ দিনে ময়মনসিংহ বিভাগের হয়ে রাজশাহী বিভাগের বিপক্ষে ১২৭ বলে ১৪১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন আবু হায়দার। ১০টি চারের পাশে তার ইনিংসে ছক্কা ছিল ১৩টি!
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার দ্বিতীয় শতরান এটি। আগেরটিও করেন এবারের জাতীয় লিগেই। সেটিতে থেমেছিলেন ১০৭ রানে। জয়ের জন্য শেষ ইনিংসে ৪২৮ রান তাড়ায় ১০১ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় ময়মনসিংহ। আট নম্বরে ক্রিজে গিয়ে পাল্টা আক্রমণে দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন ২৯ বছর বয়সী ক্রিকেটার।
তৃতীয় দিন শেষে তিনি অপরাজিত রয়ে যান ৯ ছক্কায় ৮৯ বলে ৯৭ রান করে। ক্রিজে তার সঙ্গী ছিলেন শেষ ব্যাটসম্যান আসাদুল্লাহ হিল গালিব। আজ শেষ দিনে প্রথম বলেই চার মেরে তিন অঙ্কে পৌঁছে যান আবু হায়দার। পরের বলটিও পাঠিয়ে দেন বাউন্ডারিতে। ময়মনসিংহের এই শেষ জুটি রাজশাহীকে যন্ত্রণা দেয় আরও কিছু সময়।
১৩ ছক্কায় ১৪১ রানে অপরাজিত রয়ে যান আবু হায়দার। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এর চেয়ে বেশি ছক্কা মারতে পেরেছেন আর কেবল দুজন ক্রিকেটার। ২০১৪ সালের এপ্রিলে বিকেএসপিতে চট্টগ্রাম বিভাগের বিপক্ষে ১৬৮ রানের ইনিংসের পথে ১৬ ছক্কা মেরেছিলেন মুক্তার আলি। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে মিরপুরে মধ্যাঞ্চলের বিপক্ষে দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে ১৫২ রানের ইনিংসে ১৫ ছক্কা মেরেছিলেন জিয়াউর রহমান।
জিয়াউর আরেক দফায় ১৩ ছক্কাও মেরেছেন, ২০১৪ সালে সিলেটের বিপক্ষে খুলনার হয়ে ১৬৭ রানের ইনিংসের পথে। ২০২২ সালে রংপুরের হয়ে সিলেটের বিপক্ষে ২১০ রানের ইনিংসের পথে ১৩ ছক্কা মারেন আব্দুল্লাহ আল মামুন। সেই তালিকায় এবার যোগ হলো আবু হায়দারের নাম।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছক্কার বিশ্বরেকর্ড ভারতের তান্মায় আগারওয়ালের। ২০২৪ সালে রাঞ্জি ট্রফিতে আরুনাচলের বিপক্ষে হায়দরাবাদের হয়ে ৩৬৬ রানের ইনিংসর পথে ছক্কা মেরেছিলেন তিনি ২৬টি! আবু হায়দারের ১৪১ রানের ইনিংসের পরও ময়মনসিংহ অলআউট হয় ২৮১ রানে। রাজশাহী ম্যাচ জিতে নেয় ১৪৬ রানে। জাতীয় লিগে অভিষেক মৌসুম ময়মনসিংহ শেষ করছে তিন নম্বরে থেকে।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩











