এবারই প্রথম জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে ১৭তম স্থান অর্জনের পাশাপাশি চ্যালেঞ্জার ট্রফি জিতেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ যুব হকি দলের ঐতিহাসিক এই সাফল্যে খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফদের আর্থিক সম্মানী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফেডারেশন।
আজ বিমানবাহিনীর কুর্মিটোলা ঘাঁটির শাহিন দ্বীপে বিশ্বকাপ থেকে আগত যুব হকি দল ও অ-১৮ এশিয়া কাপে ব্রোঞ্জজয়ী নারী দলকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেখানে সবাইকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। পাশাপাশি উভয় দলকে আর্থিক পুরস্কারের ঘোষণা দেন ফেডারেশন সভাপতি ও বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন।
বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল হাসান পুরস্কার নিয়ে বলেন,’আমাদের সভাপতি মহোদয় বিশ্বকাপে অসাধারণ পারফরম্যান্স করা দলকে ফেডারেশন থেকে ৪০ লাখ এবং তিনি ব্যক্তিগতভাবে আরও ২০ লাখ টাকা আর্থিক পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন। ব্রোঞ্জ জয়ী নারী দলকেও সভাপতি ১০ লাখ টাকা দিয়ে পুরস্কৃত করতে চেয়েছেন।’

এর বাইরে ৫টি হ্যাটট্রিকসহ ১৮ গোল করা আমিরুল ইসলাম ৫ লাখ টাকা পাবেন। বাকিরা ঘোষিত ৬০ লাখ টাকা থেকে জনপ্রতি ৩ লাখ টাকা করে পাবেন বলে জানা গেছে।
আমিরুল ইসলামরা বিশ্বকাপে ভালো পারফরম্যান্সের জন্য অর্ধ কোটি টাকার বেশি পাচ্ছেন। এই টাকা শুধুই খেলোয়াড় নাকি কোচিং স্টাফরাও পাবেন? এমন প্রশ্নে রিয়াজুল বলেন, ‘এই দলের সাফল্যে সবারই অবদান রয়েছে। অবশ্যই খেলোয়াড়রা মাঠে খেলেছে, তারা সবচেয়ে বেশি পাবে, কোচিং স্টাফ ও অন্যরা পাবে, তবে সেটা খেলোয়াড়দের চেয়ে কম।’
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের এই চমক জাগানিয়া পারফরম্যান্সের পেছনে বড় অবদান ডাচ কোচ আইকম্যানের। তার সঙ্গে ফেডারেশনের চুক্তি শেষ। তিনি বাংলাদেশের দায়িত্বে আর থাকতে চান না। আইকম্যান নিয়ে ফেডারেশনের অবস্থান সম্পর্কে সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রতি মাসে কয়েক হাজার ইউরো প্রয়োজন তাকে রাখতে হলে। সরকার থেকে আমরা এই অর্থ সংস্থান পেলে অবশ্যই তাকে রাখার চেষ্টা করব। অর্থ না পেলে তো তাকে প্রস্তাব বা আলোচনা করতে পারি না।’
বাংলাদেশ যুব হকি দল বিশ্বকাপে এমন সাফল্য পাওয়ার পরেও সরকারের পক্ষ থেকে পুরস্কারের আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি বা সংবর্ধনা পায়নি হকি দল।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩
















