অ্যাশেজে ব্যর্থতায় চাকরি হারানোর শঙ্কা দেখছেন ইংলিশ কোচ ম্যাককালাম। অ্যাশেজে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকলেও নিজেদের খেলার ধরন পরিবর্তন করতে না ইংল্যান্ড। ব্যর্থতার মাঝে চাকরি হারানো ভয় নেই বলেও দাবি করলেন ইংল্যান্ড কোচ।
গত বছরই ২০২৭ সাল পর্যন্ত নতুন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। তবে অ্যাশেজে হেরে গেলে খড়গ নেমে আসতে পারে তখনই। ইংল্যান্ড কোচ অবশ্য দাবি করলেন, তার মনের ভেতর এমন শঙ্কার ছায়া নেই এবং চাকরির ভয়কে ভাবনায় রেখে তিনি কোচিং করান না।
অ্যাশেজ পুনরুদ্ধারের অভিযানে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে প্রথম দুই টেস্টেই হেরে গেছে ইংল্যান্ড। সমালোচনার মুখে পড়েছেন কোচ, অধিনায়কসহ দলের অন্যরা। ইংল্যান্ডের কোচ মেনে নিচ্ছেন নিজ দলের ব্যর্থতা। তবে অ্যাডিলেইডে তৃতীয় টেস্টের প্রস্ততির ফাঁকে তিনি বললেন, নিজেদের খেলার ধরন ইংলিশরা পরিত্যাগ করবে না বা বদলাবে না।
তিনি বলেন,‘অনেক উঁচু প্রত্যাশা নিয়ে আমরা এখানে এসেছিলাম এবং এই মুহূর্তে তা পূরণ করতে পারছি না। তার মানে এই নয় যে, অতীতে যা সফল হয়েছে, তা ছুড়ে ফেলব আমরা। বরং এটা নিশ্চিত করতে হবে, দু-একটি জায়গা যেন আমরা ঠিকঠাক করতে পারি, যা আমাদেরকে সেরা সুযোগটুকু দেবে।’
এছাড়া তিনি বলেন,‘আমরা আমাদের সেরাটা দিতে পারিনি এবং সেটি স্বীকার করতেই হবে। এখান থেকে সরে যাওয়ার সুযোগ নেই। কারও দিকে আঙুল তোলাও যাবে না। বরং আরও এককাট্টা কীভাবে থাকা যায়, অবস্থা ও পরিস্থিতির বিচারে কতটা সফল হওয়া যায়, সেটা ভাবতে হবে এবং মাঠে নেমে আরেকবার চেষ্টা করতে হবে। না করতে পারলে ২-০ খুব দ্রুতই পরিণত হতে পারে ৫-০তে।’
তবে সিরিজ ৫-০ হেরে গেলে ম্যাককালাম যে ইংল্যান্ডের দায়িত্বে থাকবেন না, সেটা মোটামুটি নিশ্চিত করেই বলা যায়। তবে সেটা তিনি কখনও ভাবেন না বলেও দাবি করলেন। আপাতত তার লক্ষ্য, নিজেদের ঘরানায় অটুট থেকেই ম্যাচ জিতে সিরিজের চিত্র বদলে দেওয়া।
নিজের চাকরি নিয়ে বলেন,‘এটা (চাকরি হারানোর শঙ্কা) আমাকে ভাবায় না। চাকরির সুরক্ষার কথা ভেবে আমি কোচিং করাই না। আমি কোচিং করাই ছেলেদের কাছ থেকে সেরাটা বের করে আনতে এবং অধিনায়কের (স্টোকস) ব্যাপারটিও এমনই। আমরা যেভাবে সবকিছু করে এসেছি, সেটির প্রতিই নিবেদিত থাকব, দলের ভেতর আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলার চেষ্টা করব নিজেদেরকে ম্যাচ জেতার সেরা সুযোগটা দিতে।’
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩
















