প্রথম প্রবাসী ফুটবলার হিসেবে ডেনমার্কের ‘উন্নত জীবন’ ছেড়ে অনেক স্বপ্ন নিয়ে এক যুগের বেশি সময় আগে বাংলাদেশে এসেছিলেন জামাল ভূইয়া। মানিয়ে নিয়েছিলেন বাংলাদেশের খাবার, আবহাওয়াসহ অন্যান্য পারিপার্শ্বিকতার সাথে। সেই সময় দেশে ছিলো ক্রিকেটের জোয়ার। আক্ষেপ করে জামাল বলতেন, ‘বাংলাদেশের ফুটবলে কবে আসবে সেই সময়, যখন দর্শকরা তাদের নিয়েও মাতামাতি করবেন।’
জামালের সেই আক্ষেপের স্মৃতিচারণ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার রাশেদুল ইসলাম। খেলা ডট লাইভের পাঠকদের জন্য রাশেদুল ইসলামের ফেসবুক পোস্ট তুলে ধরা হলো।
“২০২০ সালের জানুয়ারির এক শুক্রবার। ক্রিকেটে বিপিএল টুর্নামেন্ট চলছে। অন্যদিকে ফুটবলে শুরু হবে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ। সে উপলক্ষে কারওয়ান বাজারের নিকটস্থ এক হোটেলে জাতীয় ফুটবল দলের আবাসিক ক্যাম্প।
জুম্মার নামাজ পড়ে বের হতেই জামাল ভুঁইয়া, সুফিলসহ জাতীয় দলের কয়েকজন ফুটবলারের সঙ্গে দেখা। তাঁরাও নামাজ পড়ে বের হয়েছেন।
গল্প গল্প করতে করতে চা খাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে প্রথম আলো অফিসে নিয়ে আসা। লিফটে উপরে উঠছি, বিপিএল নিয়ে আলোচনা। স্বয়ং বাংলাদেশ দলের অধিনায়কের সঙ্গে অফিসে বসে চা খাচ্ছি, সেখানেও অন্যান্য সেকশনের কলিগরা এসে বিপিএল নিয়ে আলোচনা জমিয়ে তুলেছেন।
আড্ডা শেষ করে জামালদের বিদায় জানালাম। বিদায় বেলায় লিফটের মধ্যে জামাল আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন , ‘ রাশেদ, আমাদের নিয়ে এমন আলোচনা কবে হবে ?’
আজ সেই লিফট দিয়েই যখন প্রথম আলো অফিসে উঠলাম। আমার শুধু জামালের সেই প্রশ্নটাই বার বার কানে বাজছিল – ‘রাশেদ আমাদের নিয়ে এমন আলোচনা কবে হবে?’
প্রিয় জামাল, আপনার সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। আজ শুধু আপনাদের নিয়েই আলোচনা।
আপনাদের নিয়ে আলোচনাটা এমন তুঙ্গে যে আপনাদের খেলা দেখার জন্য একটা টিকিট সবারই চাই। বাংলাদেশ আর সিঙ্গাপুরের ফুটবল র্যাংকিং নাম্বার আমাদের মুখস্থ হয়ে গিয়েছে।
গেল কয়েক দিনে হামজার জার্সি নাম্বার পরিণত হয়েছে জাতীয় নাম্বারে । সামিত সোম কোন পজিশনে খেলবেন? সেটা তো আর কোচ কাবরেরা নন, নির্ধারণ করব আমরা আম জনতা। রাকিব কেন নাম্বার নাইন ? এই প্রশ্নটি জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়ের মতোই গুরুত্বপূর্ণ।
জামাল ভাই, বাকি কাজটা কিন্তু এখন শুধু আপনাদের হাতেই! সরি, আপনাদের পায়ে …..”