অর্জনের ঝুড়িতে আর কিছুই বাকি নেই মেসির। সব মিলিয়ে যেনো সোনায় সোহাগা। ৩৬ বছরের এই জীবনে কিছুই জেতার বাকি নেই। তবে এতো এতো অর্জন সহজে আসেনি। সইতে হয়েছে অনেক গঞ্জনা। কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পর নিজের তৎকালীন ক্লাব পিএসজির হয়ে খেলতে গিয়ে অনেক কটু কথা সহ্য করতে হয়েছে মেসিকে। কারণ ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়েই যে ঝুলিতে এসেছে মেসির জীবনের অন্যতম অর্জন বিশ্বকাপ।
বিশ্বকাপ জয়ের পর মেসি জ্বরে ভাসছিলো পুরো বিশ্ব। উদযাপনের অংশ হিসেবে গোটা আর্জেন্টিনায় একদিন জাতীয় ছুটি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু নিজের ক্লাব পিএসজিতে খেলতে গিয়ে স্টেডিয়াম ভর্তি পিএসজি সমর্থকদের কাছেই শুনতে হয়ে দুয়ো ধ্বনি। হয়ে গিয়েছিলেন নিজ ঘরেই পরবাসী।
সময়ের সাথে সাথে পরিস্থিতি বদলেছে। মেসির গায়ে এখন ইন্টার মায়ামির নতুন জার্সি। ব্যালন ডি অর জয়ী এই মেসিই ইন্টার মায়ামিকে এক মাসের মাথায় এনে দিয়েছেন ইতিহাসের প্রথম শিরোপা। এর মাধ্যমে এককভাবে শিরোপা জয়ের শীর্ষে উঠলো মেসির নাম। মেজর লীগ সকারে যোগ দেওয়ার পর প্রথমবারের মতো গণমাধ্যমে সামনে মুখ খুললেন মেসি। বলেন, `মায়ামির দর্শকরা আমাদের যেভাবে সমর্থন করে তা দারুণ, গ্যালারি সব সময় পরিপূর্ণ থাকে। সবাই আমাকে যেভাবে স্বাগত জানিয়েছে তাতে আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ। আমি খেলাটা উপভোগ করি। তিনি আরো বলেন, পিএসজিতে যোগ দেওয়া অপরিকল্পিত ছিলো। ‘
ফুটবলের সম্রাট পেলেও খেলেছেন মেজর লিগ সকারে, নিউইয়র্ক কসমসের হয়ে। সেখানে মাত্র দু বছর খেললেও যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলে জনপ্রিয়তা বাড়ার পেছনে তার অবদানও অনেক। পরবর্তীতে মেজর লিগ সকারে খেলেছেন বিশ্বকাপজয়ী কার্লোস আলবার্তো, এফ, ব্যাকেনবু্য়ার। বলা যায় তারই ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে এলেন লিওনেল মেসি।
এতো কিছুর পরও পিএসজি ও বার্সেলোনার মাঝের সময়টা তিক্ত স্মৃতি হয়েই থাকবে মেসির ক্যারিয়ারে। বার্সেলোনার সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাতে সই করার আগ-মুহুর্তে জানতে পারেন কাতালান শহরে আর থাকতে পারছেন না তিনি এলএমটেন। লিগার আর্থিক কাঠামোর নিয়ম অনুযায়ী, বার্সার সঙ্গে পারবেন না চুক্তি করতে। পরে দুই দিনের সিদ্ধান্তে হুট করে প্যারিসে আসার সিদ্ধান্ত নেন। তবে ফ্রান্স আপন করে নিতে পারেনি এই ফুটবল যাদুকরকে। যদিও দুই বছরে পিএসজি’র হয়ে দুইটি লীগ টাইটেল ও একটি ফ্রেন্স সুপার কাপ অর্জন করেছেন মেসি।