পাকিস্তান ও ভারতের ম্যাচের আগে একটা বিষয় আলোচনায় স্থান করে নিয়েছিল। বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তান কখনোই জিততে পারেনি। সাত ম্যাচের সাতটিতেই হেরেছে পাকিস্তান। আজকের ম্যাচ শেষে এটি ভারতের পক্ষে ৮-০ হবে না পাকিস্তান ব্যবধান কমিয়ে ৭-১ করবে।
প্রথম ইনিংস শেষে ম্যাচটা ভারতের পক্ষে ৮-০ হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কেননা আগে ব্যাট করা পাকিস্তানের ইনিংস মাত্র ১৯১ রানে শেষ হয়েছে। ৪২.৫ ওভারে অল আউট হয়েছে পাকিস্তান।
দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ বা অন্য কোনো টুর্নামেন্টে ফলাফল যাই হোক না কেন ওয়ানডে বিশ্বকাপ ভারতের সামনে পড়লেই পাকিস্তান যেন পথ হারিয়ে বসে। বিশেষ করে পাকিস্তানের ব্যাটাররা ব্যাটিংটা ভুলে যান। মাঝে মাঝে ভারতীয় ব্যাটারদের সামনে পড়ে পাকিস্তানের বোলাররা যেনো লাইন লেন্থ হারিয়ে বসে। প্রত্যেক বিশ্বকাপে এমন কেন অবস্থা হয় তার কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা নেই।
বিশ্বকাপে ১৯৯২ সালে প্রথমবারের মতো চির প্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল। নির্ধারিত ৪৯ ওভারে পাকিস্তানের বোলাররা মাত্র ২১৬ রানে ভারতকে আটকে দিলেও ব্যাটাররা এই রান পার হতে পারেনি। আমির সোহেল, ইনজামাম উল হক, জাভেদ মিয়াদাদ, সেলিম মালিক ও ইমরান খানের মত ব্যাটার থাকা সত্ত্বেও ১৭৩ রানে অল আউট হয়েছিল পাকিস্তান।
পরের বিশ্বকাপে অর্থাাৎ ১৯৯৬ সালে ভারত -পাকিস্তান কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল। ৮ উইকেটে ২৮৭ রান করেছিল ভারত। বিপরীতে ৯ উইকেটে ২৪৮ রান করে পাকিস্তান। এই একটা ম্যাচে কিছুটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়েছিল পাকিস্তান।
১৯৯৯ সালেও ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হয়েছিল। আগেই জানানো হয়েছে পাকিস্তান সব ম্যাচে হেরেছে। এবারো তার ব্যতিক্রম কিছু ঘটেনি। পাকিস্তানের ব্যাটাররা চরমভাবে ব্যর্থ হয়। ভারত ২২৭ করেছিল। কিন্তু পাকিস্তান ব্যাটাররা তো আগেই জানিয়েছে যত যাই হোক ভারতের সংগ্রহকে টপকানো যাবে না। তাই তো ১৮০ রানে অল আউট হয়েছিল তারা।
২০০৩ সালে পাকিস্তানের ব্যাটাররা ভালো করেছিল। স্কোরবোর্ডে ২৭৩ রান জমা করেছিল। কিন্তু বোলাররা হাঁটলেন উল্টো পথে। বিশেষ করে শোয়েব আখতার ও ওয়াকার ইউনিস। তারা যথাক্রমে ৭২ ও ৭১ রান দিয়ে ভারতের জয় সহজ করে দেন।
২০০৭ সালে পাকিস্তান-ভারত মুখোমুখি হয়নি। ২০১১ সালের সেমিফাইনালে আবার তাদের দেখা হয়। ভারতের ২৬০ রানের বিপরীতে পাকিস্তানের ব্যাটাররা চরমভাবে ব্যর্থ হয়। তাদের মোট সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৩১ রান। ফল, আরো একটা হার সঙ্গী হয় পাকিস্তানের।
২০১৫ সালের বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বোলাররা যেমন ভারতের ব্যাটারদের সামনে পাত্তা পায়নি তেমনি নাজুক অবস্থায় হয় ব্যাটারদের। ভারতের ৩০০ রানের জবাবে পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিলো মাত্র ২২৪।
২০১৯ বিশ্বকাপের অবস্থা ২০১৫ সালের মতো। পাকিস্তান বোলারদের নাস্তানাবুদ করে রানের পাহাড় গড়েছিল ভারত। ৫ উইকেটে ৩৩৬ রান করেছিল তারা। জবাবে আগের সব বিশ্বকাপের বিপরীতে যাওয়ার চেষ্টা করেননি পাকিস্তানের ব্যাটাররা। মাত্র ২১২ রান করে ডাকওয়ার্থ লুইস (ডিএল) মেথডে ৮৯ রানে হেরেছিল পাকিস্তান।