সূচি প্রকাশের পর থেকেই ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ কে ঘিরে সমর্থকদের উন্মাদনা যেন আরও বাড়িয়ে দিয়েছে টিকিটের দামে হঠাৎ লাফ। নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, বিশেষ করে পর্তুগাল, আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের গ্রুপপর্বের ম্যাচের টিকিট রিসেল সাইটে কিনতে সমর্থকদের দিতে হচ্ছে মূল দামের তুলনায় ৩০০ থেকে ৫০০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তি টাকা।
ফিফার প্রথম ধাপের টিকিট আবেদনেই স্পষ্ট হয়েছিল আগ্রহের মাত্রা। সেখানেই ২১০ দেশের প্রায় ১৫ লাখ সমর্থক আবেদন করেন। আর সূচি ঘোষণার পর রিসেল মার্কেটে দাম বেড়ে যাওয়ায় সবচেয়ে আলোচনায় উঠে এসেছে এই তিন জনপ্রিয় দলের ম্যাচগুলো। প্রথম দুই ধাপে ফিফার ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি টিকিট না পেয়ে এখন অনেকেই ঝুঁকছেন রিসেল সাইটগুলোর দিকে। ফলে দামে যে অস্বাভাবিক বৃদ্ধি হবে, তার প্রমাণ মিলছে ম্যাচভেদে টিকিটের তালিকায়। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় অনুষ্ঠিত ৯১ ম্যাচের মধ্যে ৭৮টির টিকিটেরই দাম অনেক বেড়েছে।
সবচেয়ে বেশি চাহিদা এখন পর্তুগাল, ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার ম্যাচকে কেন্দ্র করে। গ্রুপপর্বের মধ্যে সবচেয়ে দামি টিকিট মায়ামি গার্ডেনে পর্তুগাল বনাম কলম্বিয়া ম্যাচের, যার দাম রিসেল মার্কেটে পৌঁছেছে ২ হাজার ১৮৯ ডলারে। এটি মূল দামের চেয়ে ৫১৪ শতাংশ বেশি। পরের অবস্থানে স্কটল্যান্ড বনাম ব্রাজিল ম্যাচ। তালিকার শীর্ষ পাঁচে জায়গা পেয়েছে আর্জেন্টিনার দুটি ম্যাচও।
নকআউট পর্বেও একই চিত্র। পছন্দের দলকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ধরে ৩ জুলাইয়ের সম্ভাব্য আর্জেন্টিনা ম্যাচের টিকিটের দাম ইতোমধ্যে ৫০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ ডলারের ঘরে পৌঁছেছে।
তবে সব ম্যাচেই যে দাম বেড়েছে, তা নয়। ১২টি ম্যাচের টিকিট বরং কমেছে আগের তুলনায়। প্রথমবার বিশ্বকাপে আসা কেপ ভার্দে, সৌদি আরব, উজবেকিস্তান ও আলজেরিয়ার ম্যাচগুলো রয়েছে এই তালিকায়।
এদিকে ফিফা ইতোমধ্যেই টিকিট বিক্রির তৃতীয় ধাপের আবেদন চালু করেছে। আর ১১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে সর্বশেষ ধাপের টিকিট বিক্রি। বিপুল চাহিদার এই সময়ে শেষ ধাপ সমর্থকদের জন্য আরেকটি সুযোগ খুলে দেবে, যদিও দাম কোন দিকে যাবে তা এখনই বলা কঠিন।
