একজন ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার কখনও কখনও এক অভিযোগেই থমকে দাঁড়ায়। সেই স্থবিরতার মধ্য থেকেই অবশেষে স্বস্তির পথ খুলল হায়দার আলী র জন্য। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড তার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে, যা তাকে আবার প্রতিযোগিতামূলক মাঠে ফিরতে সুযোগ দিচ্ছে।
গত সেপ্টেম্বরে ম্যানচেস্টারে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর থেকে কোনো ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ম্যাচ খেলতে পারেননি হায়দার। পরে মামলায় তিনি নির্দোষ সাব্যস্ত হলেও বোর্ডের নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল।
শেষ পর্যন্ত পিসিবি বুধবার জানিয়েছে, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) খেলার জন্য নয়জন ক্রিকেটারকে এনওসি দেওয়া হয়েছে এবং সেই তালিকায় রয়েছেন হায়দারও। বোর্ডের এক সূত্র নিশ্চিত করেছে যে খেলোয়াড়রা ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত বিদেশি লিগে অংশ নিতে পারবেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৩৫ টি-টোয়েন্টি ও ৩ ওয়ানডে খেলা হায়দার সেই সময় পাকিস্তান শাহিন্সের হয়ে ইংল্যান্ড সফরে ছিলেন। সেখানেই এক জন্মসূত্রে ব্রিটিশ-পাকিস্তানি নারী তার বিরুদ্ধে ম্যানচেস্টারের পুলিশের কাছে হায়দার আলীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন।
অভিযোগ তদন্তাধীন থাকায় পিসিবি তাকে সাময়িক নিষিদ্ধ করে। তবে আদালতে পাঠানোর মতো প্রমাণ না থাকায় এবং গ্রেপ্তারের প্রয়োজনীয়তা না পাওয়ায় ম্যানচেস্টার সিটি পুলিশ ২৫ সেপ্টেম্বর মামলাটি বন্ধ করে দেয়।
বিপিএলে খেলার অনুমতি পাওয়া অন্য পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা হলেন মোহাম্মদ নওয়াজ, আবরার আহমেদ, শাহিবজাদা ফারহান, ফাহিম আশরাফ, হুসেইন তালাত, খাজা নাফাই ও এহসানউল্লাহ।
শেষ পর্যন্ত হায়দারের নিষেধাজ্ঞা ওঠায় একটি বন্ধ দরজা আবার খুলল, আর তার পরবর্তী পথচলা এবার সম্পূর্ণই নির্ভর করবে মাঠে ফিরে নিজেকে কতটা প্রমাণ করতে পারেন তার ওপর।
