ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল চ্যালেঞ্জ টুর্নামেন্টের মিশ্র দ্বৈতের ফাইনালে উঠেছেন বাংলাদেশের তারকা শাটলার আল আমিন জুমার-ঊর্মি আক্তার জুটি। এর ফলে রৌপ্য পদক নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশের। আজ শহিদ তাজউদ্দিন আহমেদ ইনডোরে জুমার-ঊর্মি জুটি সেমিফাইনালে থাইল্যান্ডের কুনলাপাত লোথং ও সারিসা জানপেং জুটিকে সরাসরি ২১-১১ ও ২১-১৪ গেমে (২-০ সেটে) হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেন জুমার ও ঊর্মি।
আজ একদিনে জুমার-ঊর্মি জুটি দুটি সাফল্য পেয়েছেন। প্রথমে ভারতের স্বস্তিক মাথারাসান-কীর্তি মাঞ্চালাকে ২১-১৬, ১৯-২১ ও ২১-১৮ পয়েন্টে হারিয়ে শেষ চারে জায়গা করে নেন তারা। ফলে অন্তত ব্রোঞ্জ পদক নিশ্চিত হয়।
আর রাতে অনুষ্ঠিত ফাইনালে থাইল্যান্ডের মিশ্র শাটলার জুটিকে সরাসরি সেটে হারিয়ে ফাইনালে উঠে ইতিহাস গড়েন জুমার-ঊর্মি জুটি। ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জের ইতিহাসে প্রথমবার কোন ইভেন্টের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। এর আগে সেরা সাফল্য ছিল বাংলাদেশের ব্রোঞ্জপদক জয়।

আগামীকাল ফাইনালে শিরোপার জন্য মালয়েশিয়ার দাতু আনিফ ও ক্লারিসা সান জুটির বিপক্ষে খেলবেন জুমার-ঊর্মি। এবার একক বিভাগে বাংলাদেশি শাটলাররা তেমন ভালো করতে পারেননি। দ্বৈত বিভাগে খানিকটা আশা জাগালেও শেষ পর্যন্ত মিশ্র বিভাগ থেকে একটি পদক নিশ্চিত হয়েছে।
খেলা শেষে ঊর্মি আক্তার বলেন,‘সকালেই আমি বলেছিলাম, আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে চাই। সেই লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। ফাইনাল নিশ্চিত করেছি। এবার স্বর্ণ জিততে চাই।’
আল আমিন জুমার সাফল্যের কারণ নিয়ে বলেন,‘সাত বছর ধরে ঊর্মিকে নিয়ে আমি মিশ্র দ্বৈতে খেলছি। এবারও পারফর্ম ভাল করছি। মূলত এসএ গেমসের জন্য যে অনুশীলন হয়েছে, তা অনেক কাজে দিয়েছে আমাদের।’
আগামীকাল দুপুর থেকে সব বিভাগের ফাইনাল শুরু হবে। আগামীকাল রাষ্ট্রীয় শোক থাকায় টুর্নামেন্টের সকল খেলোয়াড়, আম্পায়ার, কোচ ও কর্মকর্তা কালোব্যাজ ধারণ করবেন। ফাইনাল শেষে পুরস্কার মঞ্চে ওসমান হাদির ছবি দিয়ে শোকবার্তা জানাবে ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩
















