ইউনেক্স-সানরাইজ ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের মিশ্র দ্বৈতে বাংলাদেশের আল আমিন জুমার-ঊর্মি আক্তার জুটি রৌপ্য পদক পেয়েছেন। আজ ফাইনালে তারা মালয়েশিয়ার দাতু আসরাহ-ক্ল্যারিসা স্যান জুটির কাছে ২-০ সেটে হেরে যান। তবে রানার্সআপ হিসেবে ৮৪০ মার্কিন ডলার এবং বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সভাপতি হাবিব উল্যা ডন দুজনকে পাঁচশত করে মোট ১ হাজার ডলার অর্থ পুরস্কার দিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টনে বাংলাদেশের কোনো জুটি আগে কখনো ফাইনালে উঠতে পারেনি। আজ শনিবার মিশ্র দ্বৈতের ফাইনালে জুমার-ঊর্মি মালয়েশিয়ান জুটি আসরাহ-ক্ল্যারিসার কাছে সরাসরি ২-০ সেটে হেরেছেন তারা। প্রথম সেটে ( ২৭-২১) লড়াই করলেও, পরের সেটে (২১-১৪) আর পেরে ওঠেননি
বাংলাদেশের জুটি।
ফাইনাল শেষে উর্মি আক্তার পৃষ্ঠপোষকহীনতা ও কম প্রশিক্ষণকে দায়ী করলেন, ‘ওদের সঙ্গে আমাদের অনেক পার্থক্য। ওদের ড্রেস দেখলেই বুঝবেন। ওরা বড় বড় স্পন্সর নিয়ে খেলে। আমাদের সেভাবে কোনো স্পন্সর নেই। দীর্ঘ মেয়াদী ট্রেনিংয়ের সুবিধা নেই।’
রাষ্ট্রীয় শোক দিবসের কারণে ফাইনালে কোনো আনুষ্ঠানিকতা রাখা হয়নি। কালো ব্যাজ ধারণ করে প্রত্যেক শাটলার এবং কোচ-কর্তারা মাঠে যে যার কাজ সম্পন্ন করেছেন।
মিশ্র দ্বৈতের পাশাপাশি আজ আরও চারটি ইভেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। পুরুষ এককে দুই ভারতীয়র লড়াইয়ে মেইরাবা মাইসনাম ২১-৭ ও ২১-১২ পয়েন্টে নুমাইর শাইককে পরাজিত করেন। নারী এককে চ্যাম্পিয়ন হন যুক্তরাষ্ট্রের ইসিকা জয়সোয়াল। ভারতের তানভি রেড্ডিকে ২২-২০, ২১-২৩ এবং ২১-১৫ পয়েন্টে পরাজিত করে স্বর্ণ জেতেন ইসিকা।
পুরুষ দ্বৈতের ফাইনালে ভিয়েতনামের ড্যাং খাহ-ট্রান হোং জুটিকে ২১-১৯ ও ২১-১২ পয়েন্টের ব্যবধান হারান ভারতের নিরঞ্জন- রুবান কুমার জুটি। সবশেষ নারী দ্বৈতের ফাইনালে থাইল্যান্ডের পাত্থারিন- সারিসা জানপেং জুটির কাছে মালয়েশিয়ার গ্যান মিন-তান জিং জুটিকে ২১-৭, ২০-২২ ও ২১-১৫ পয়েন্টে পরাজিত করেন।
টুর্নামেন্টের এবার পুরুষ ও নারী একক, দ্বৈত ও মিশ্র দ্বৈত এই পাঁচ ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন, রানার্সআপ, সেমিফাইনালিস্ট এবং কোয়ার্টার ফাইনালিস্ট সবাইকে মোট ১৭ হাজার ৫০০ ইউএস ডলার আর্থিক পুরস্কার দেয়া হয়। চ্যাম্পিয়নরা ১৪০০, রানার্সআপরা ৮৪০, সেমিফাইনালিস্ট ৩৫০ ও কোয়ার্টার ফাইনালিস্ট ১৪০ ডলার করে পুরস্কার পেয়েছেন।