কেমন হতে পারে কেকেআর একাদশ ?

কেমন হতে পারে কেকেআর একাদশ

ছবি: আইপিএল এর অফিশিয়াল ফেইসবুক পেইজ থেকে নেয়া।

নিলামের হাতুড়ির শেষ শব্দ পড়তেই বোঝা গেছে, পরিকল্পনার দিক থেকে এবার এক ধাপ এগিয়ে ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। আইপিএলের ১৯তম আসরের মিনি নিলামে আবুধাবির মঞ্চে সবচেয়ে গোছানো ও আক্রমণাত্মক দলগঠন করেছে তিনবারের চ্যাম্পিয়ন এই ফ্র্যাঞ্চাইজি। এই নিলামের পরে সবার মাথায় এখন একটাই প্রশ্ন, কেমন হতে পারে কেকেআর একাদশ?

১০ দলের অংশগ্রহণে হওয়া নিলামে মোট ৭৭ জন ক্রিকেটার দল পেয়েছেন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১৩ জনকে দলে নিয়েছে কেকেআর। নিলামে নামার সময় তাদের হাতে ছিল ৬৪ কোটি ৩০ লাখ রুপি। স্কোয়াড পূরণ করতে শেষ পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৬৩ কোটি ৮৫ লাখ রুপি, অর্থাৎ প্রায় পুরো বাজেটই ব্যবহার করেছে কলকাতা।

দামের বিচারে নিলামের শীর্ষ দুই খেলোয়াড়ই কেকেআরের ঝুলিতে। অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিনকে ২৫ কোটি ২০ লাখ রুপিতে দলে নিয়েছে তারা, যা আইপিএল ইতিহাসে কোনো বিদেশি ক্রিকেটারের জন্য সর্বোচ্চ মূল্য। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮ কোটি রুপিতে কেনা হয়েছে শ্রীলঙ্কার পেস সেনসেশন মাথিশা পাথিরানাকে। এ ছাড়া বাংলাদেশের পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে ৯ কোটি ২০ লাখ রুপিতে দলে টেনে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসেও নতুন রেকর্ড গড়েছে কেকেআর।

রিটেইন তালিকায় কলকাতা আগেই ধরে রেখেছিল অভিজ্ঞতা ও ধারাবাহিকতার মিশেল। সেই তালিকায় আছেন আজিঙ্কা রাহানে, অঙ্গকৃশ রঘুবংশী, অনুকুল রায়, হার্ষিত রানা, মানীশ পাণ্ডে, রমনদীপ সিং, রিংকু সিং, রভম্যান পাওয়েল, সুনীল নারিন, উমরান মালিক, বৈভব অরোরা ও বরুণ চক্রবর্তী।

নিলাম থেকে নতুন করে যুক্ত হয়েছেন ক্যামেরন গ্রিন, মাথিশা পাথিরানা, মুস্তাফিজুর রহমান, রাচিন রবীন্দ্র, আকাশ দীপ, ফিন অ্যালেন, টিম সেইফার্ট, তেজস্বী সিং দাহিয়া, কার্তিক ত্যাগী, রাহুল ত্রিপাঠী, প্রশান্ত সোলাঙ্কি, সার্থক রঞ্জন ও দক্ষ কামরা।

এই স্কোয়াড নিয়ে এখন স্বাভাবিকভাবেই আলোচনার কেন্দ্রে কেকেআরের সম্ভাব্য একাদশ।

ওপেনিংয়ে সুনীল নারিনের সঙ্গে ফিন অ্যালেন অথবা টিম সেইফার্টের যেকোনো একজনকে দেখা যেতে পারে। এই দুই বিদেশির কেউ খেললে উইকেটকিপারের দায়িত্বও সামলাতে পারবেন। তিন নম্বরে অভিজ্ঞ আজিঙ্কা রাহানে, চার নম্বরে বড় বিনিয়োগ ক্যামেরন গ্রিন। পাঁচ নম্বরে মানীশ পাণ্ডে বা অঙ্গকৃশ রঘুবংশী বিকল্প হিসেবে থাকবেন। ছয় নম্বরে শক্তিশালী ফিনিশিংয়ের জন্য রভম্যান পাওয়েল এবং সাত নম্বরে ম্যাচ শেষ করার দায়িত্বে প্রায় নিশ্চিতভাবেই থাকবেন রিংকু সিং।

বোলিং আক্রমণে মুস্তাফিজুর রহমান, হার্ষিত রানা, কার্তিক ত্যাগী ও বরুণ চক্রবর্তীর সমন্বয়ে শক্তিশালী ইউনিট দাঁড় করাতে পারে কলকাতা। প্রয়োজনে ব্যাটিং ধস সামলাতে রাহুল ত্রিপাঠী, রঘুবংশী বা অনুকুল রায়ের মতো দেশীয় ব্যাটারদের ব্যবহার করার সুযোগ থাকবে। আর স্পিন সহায়ক বা ধীরগতির উইকেটে রাচিন রবীন্দ্রকে খেলিয়ে কম্বিনেশন বদলানোর অপশনও আছে।

সব মিলিয়ে কাগজে-কলমে ভারসাম্যপূর্ণ একটি দল দাঁড় করিয়েছে কেকেআর। দামি নামের ভিড়ে কে শেষ পর্যন্ত একাদশে জায়গা পাবেন, সেটা নির্ভর করবে কন্ডিশন ও ম্যাচের চাহিদার ওপর। তবে নিলামের শেষে একটা ব্যাপার স্পষ্ট, এবার শিরোপার দৌড়ে কলকাতা শুধু অংশ নিতে নয়, জিততেই মাঠে নামতে প্রস্তুত।

Exit mobile version