সমালোচনার ঝড়
‘ক্রিসমাসের’ আনন্দের ঠিক আগমুহূর্তে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মুখে পড়েছে লেস্টার সিটি। বছরের পর বছর ধরে চলে আসা একটি রীতি ভেঙে কর্মীদের ডিসেম্বর মাসের বেতন নির্ধারিত সময়ের আগেই না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ক্লাবটি। এতে সমালোচনার ঝড় ওঠে এবং শেষ পর্যন্ত কর্মীদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয় ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপের ক্লাবটি। গোল ডটকম এই খবর জানিয়েছে।
ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্লাব কর্তৃপক্ষ একটি অভ্যন্তরীণ ইমেইলের মাধ্যমে কর্মীদের জানায়, ডিসেম্বরের বেতন ক্রিসমাসের আগে দেওয়া হবে না। পরিবর্তে মাসের শেষ দিন, অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর বেতন পরিশোধ করা হবে। বিষয়টি কর্মীদের জন্য ছিল অপ্রত্যাশিত, কারণ এটি লেস্টার সিটির দীর্ঘদিনের প্রচলিত প্রথার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
আনুষ্ঠানিকভাবে লেস্টারের বেতন দেওয়ার দিন মাসের শেষ দিনই। তবে বাস্তবে বছরের পর বছর ধরে ক্লাবটি ডিসেম্বর মাসে কর্মীদের আগেভাগে বেতন দিয়ে আসছিল, যেন উৎসবের সময় বাড়তি আর্থিক চাপ না পড়ে। এই সুবিধা কেবল প্রশাসনিক কর্মীদের জন্য নয়, খেলোয়াড় থেকে শুরু করে শীর্ষ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য ছিল।
হঠাৎ করে এই সিদ্ধান্ত জানানোয় কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়। বিশেষ করে অল্প সময়ের নোটিসে বিষয়টি জানানোকে অনেকেই অসম্মানজনক বলে মনে করেন। কারণ কর্মীরা এতদিন অভ্যস্ত ছিলেন ডিসেম্বরের শেষ শুক্রবার কিংবা ক্রিসমাসের আগের শেষ কর্মদিবসেই বেতন পাওয়ার বিষয়ে।
তবে ক্লাবের পক্ষ থেকে আর্থিক সংকটের অভিযোগ নাকচ করা হয়েছে। লেস্টার সিটির দাবি, আর্থিকভাবে তারা এখনও স্থিতিশীল অবস্থাতেই আছে। ক্লাব সূত্রের মতে, মূল সমস্যাটি অর্থনৈতিক নয়, বরং সিদ্ধান্ত জানানোয় সময় ও যোগাযোগের ঘাটতি। মাঠের ভেতরেও সময়টা ভালো যাচ্ছে না লেস্টারের।
২০২৩ সালে ইতিহাসে প্রথমবার প্রিমিয়ার লিগ থেকে অবনমনের পর এক মৌসুমের মধ্যেই তারা শীর্ষ লিগে ফিরেছিল। কিন্তু সেই প্রত্যাবর্তন দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। আবারও অবনমনের ধাক্কা খেয়ে বর্তমানে চ্যাম্পিয়নশিপে খেলছে হামজা চৌধুরীর ক্লাব। সব মিলিয়ে, মাঠের ব্যর্থতা আর মাঠের বাইরের এই বিতর্ক মিলিয়ে লেস্টার সিটির জন্য সময়টা বেশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছে।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩
















