সোমবার রাতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দর্শকেরা অনন্য এক ম্যাচ উপভোগ করেছে। যেখানে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও এএফসি বোর্নমাউথ ম্যাচ ৪-৪ গোলে ড্র হয়েছে। ম্যাচটিকে ইংল্যান্ডের সাবেক ডিফেন্ডার জেমি কারাঘের এই মৌসুমে শীর্ষস্থানীয় দলগুলোর মাঝে হওয়া খেলাগুলোর মধ্যে সেরা বলে উল্লেখ করেছেন। শুধু তাই নয়, ম্যাচটিকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের এ যাবতকালের সেরা ম্যাচগুলোর একটি বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। প্রিমিয়ার লিগের সেরা ম্যাচগুলোর কয়েকটি নিয়ে আলোচনা করা গেলো।
লিভারপুল ৪-৩ নিউক্যাসল (৩ এপ্রিল ১৯৯৬): অসাধারণ এক ম্যাচ ছিল এটি। লিগ শিরোপা দেখতে পাচ্ছিল নিউক্যাসল। কিন্তু ইনজুরি সময়ে জোড়া গোল লিভারপুল ম্যাচ জিতে নেয় এবং নিউক্যাসল শিরোপা জয়ের সুযোগ হারায়।
ম্যানসিটি ৩- ২ কিউপিআর (১৩ মে ২০১২): ভয়াবহ নাটকীয়তায় ভরা এক ম্যাচ। ইনজুরি সময়ে দুই গোল করে কিউপিআরকে হারিয়ে গোল পার্থক্যে ম্যানসিটি ৪৪ বছরে প্রথমবার প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জয় করে।
লিভারপুল ৪-৪ আর্সেনাল (২১ এপ্রিল ২০০৯): লিভারপুলের শিরোপা স্বপ্নে বড় এক আঘাত ছিল ম্যাচটি। অ্যানফিল্ডে আর্সেনালের হয়ে একাই চারটি গোল করেছিলেন আন্দ্রে আর্শাভিন। এ ম্যাচে পয়েন্ট হারিয়ে লিভারপুল শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় হয়।
নিউক্যাসল ৪-৪ আর্সেনাল (৫ ফেব্রুয়ারি ২০১১): আর্সেনাল ৪-০ গোলে এগিয়ে থেকে ম্যানইউয়ের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছিল। কিন্তু ম্যাচ শেষে স্কোর দাঁড়ায় ৪-৪। ৮৭ মিনিটে নিউক্যাসল শেষ গোলটি পায়।
এভারটন ৩-২ উইম্বলডন (৭ মে ১৯৯৪): প্রিমিয়ার লিগ থেকে যে ছয়টি দল কখনোই রেলিগেটেড হয়নি তাদের মধ্যে একটা এভারটন। উইম্বলডনের বিপক্ষে দুই গোলে পিছিয়ে থেকে সেবার রেলিগেশন প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছি”ল। কিন্তু শেষ সময়ে ২০ মিনিটের এক ঝড়ে তারা জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। রেলিগেশন থেকে রক্ষা পায়।

নিউক্যাসল ৫-০ ম্যানইউ (২০ অক্টোবর ১৯৯৬): ম্যানইউয়ের একটা প্রতিশোধ মিশন ছিল। কিন্তু উল্টো তারা এমনভাবে বিধ্বস্ত হয় যা অ্যালেক্স ফার্গুসনের লজ্জা বাড়িয়ে দেয়।
টটেনহাম ৩-৫ ম্যানইউ (২৯ সেপ্টেম্বর ২০০১): ০-৩ গোলে পিছিয়ে ছিল ম্যানইউ। শেষ পর্যন্ত নাটকীয় ম্যাচে ম্যানইউয়ের জয় ৫-৩ ব্যবধানে।
ম্যানইউ ৪-৩ ম্যানসিটি (২১ সেপ্টেম্বর ২০০৯): নিশ্চিত ৩-৩ গোলে ড্র ম্যাচ। কিন্তু ইনজুরি সময়ে মাইকেল ওয়েনের গোলে ম্যানইউ শেষ হাসি হাসে।
লিডস ৪-৩ লিভারপুল (৪ নভেম্বর ২০০০): লিভারপুল দুই গোলে এগিয়ে থেকেও লিডস ইউনাইটেডের কাছে ৪-৩ ব্যবধানে হেরে যায়।
ক্রিস্টাল প্যালেস ৩-৩ লিভারপুল (৫ মে ২০১৪): শিরোপা যুদ্ধে আগের ম্যাচে চেলসির কাছে হেরে বিপাকে লিভারপুল। তবে ক্রিস্টাল প্যালেসে অ্যানফিল্ডে দারুণ স্বস্তিতে ছিল লিভারপুল। ৩-০ গোলে এগিয়ে তারা। কিন্তু ১১ মিনিটের এক ঝড়ে লিভারপুলের স্বপ্ন শেষ।
ম্যানইউ ৪-৪ বোর্নমাউথ (১৫ ডিসেম্বর ২০২৫): স্বাগতিক দল তিনবার এগিয়ে থেকেও জয় পায়নি। ২-৩ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে ৪-৩ গোলে এগিয়ে গিয়ে ৮৪ মিনিটে গোল হজম করে ড্র করে ম্যানইউ।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩


















