বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ইতিহাসে রেকর্ড ৯ কোটি ২০ লাখ রুপিতে দল পেয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। আজ মিনি নিলাম থেকে কলকাতা নাইট রাইডার্স কিনেছে তাকে। এর আগে বাংলাদেশি হিসেবে সবচেয়ে বেশি ৬ লাখ ডলারে (বর্তমানে ৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকা) মাশরাফি বিন মর্তুজাকে কলকাতাই নিয়েছিল ২০০৯ সালে।
মোস্তাফিজের মূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। রেকর্ড পারিশ্রমিকে আইপিএল আসরে দল পাওয়া মাশরাফির থেকে পরিমাণটা প্রায় দ্বিগুণ। মাশরাফিকে কলকাতা তখন ৬ লাখ ডলারে কেনে, যার বর্তমান বাজারমূল্য ৫ কোটি ৪৫ লাখ রুপি।
এর আগে আইপিএলে বাঁহাতি মোস্তাফিজ সর্বোচ্চ ২ কোটি ২০ লাখ রুপিতে দল পেয়েছিলেন। ২০১৮ আসরে ফিজকে ওই দামে কিনেছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। এছাড়া সাকিব আল হাসান সর্বোচ্চ ২ কোটি ৮০ লাখ রুপিতে ২০১৫ আইপিএলে খেলেছিলেন কলকাতার হয়ে।

মোস্তাফিজ এবারই প্রথম কলকাতা নাইট রাইডার্সের জার্সি গায়ে জড়াবেন। সবমিলিয়ে ৫টি দলের হয়ে তিনি ৮ মৌসুম খেলেছেন আইপিএল আসরে। এর মধ্যে দিল্লি ক্যাপিটালসে ৩ বার ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদে ২ বার খেলেন মোস্তাফিজ। এছাড়া ১ বার করে খেলেছেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, রাজস্থান রয়্যালস ও চেন্নাই সুপার কিংসে।
এবার ৬ষ্ঠ দল হিসেবে কলকাতায় খেলবেন ৩০ বছর বয়সি মোস্তাফিজ। বাংলাদেশি হিসেবে সবচেয়ে বেশি ৯ মৌসুম আইপিএলে খেলেছেন সাকিব আল হাসান। এবার তাকে ছুঁয়ে ফেলবেন মোস্তাফিজ। কারণ আসন্ন আইপিএল হতে যাচ্ছে মোস্তাফিজের জন্য ৯ম আসর।
আইপিএলের সর্বশেষ আসরে দিল্লিতে বদলি ক্রিকেটার হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন মোস্তাফিজ। ৩ ম্যাচ খেলে দল বাদ পড়ায় তাকে আর আসরটিতে দেখা যায়নি। এবারের মিনি নিলামেও ২ কোটি ভিত্তিমূল্যের এই তারকার জন্য দিল্লিই প্রথমে বিড করে।

মোস্তাফিজকে পেতে দিল্লির সঙ্গে লড়াই শুরু করে চেন্নাই সুপার কিংস। চেন্নাই ৫ কোটি ৪০ লাখ রুপি পর্যন্ত ডাক দিয়ে লিডিং পজিশনে ছিল, চলমান বিডে আচমকা ঢুকে পড়ে কলকাতা। দর কষাকষির একপর্যায়ে ৯.২০ কোটি রুপি পর্যন্ত দাম ওঠার পর হাল ছেড়ে দেয় চেন্নাই।
আইপিএলে ৫টি ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে মোস্তাফিজ খেলেছেন ৬০ ম্যাচ, যেখানে ৮.১৩ ইকোনমিতে নিয়েছেন ৬৫ উইকেট।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩















