২০২৬ সালের বিশ্বকাপে ব্রাজিলের তারকা নেইমার খেলতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় আছে। কারণ হাঁটুর ইনজুরি থেকে পুরোপুরি সেরে উঠতে পারেননি। তাই ফিটনেস ফিরে পেতে নেইমার আস্থা রাখছেন ‘ডক্টর মিরাকলের’ ওপর। ফিজিওথেরাপিস্ট এদুয়ার্দো সান্তোসকে সবাই এ নামেই ডাকে।
কিছুদিন আগেই আসন্ন ফিফা বিশ্বকাপের গ্রুপিং ও সূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এখন দলগুলো বিশ্বকাপ স্কোয়াড নিয়ে পরিকল্পনা করবে। কিন্তু নেইমারকে নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো পরিকল্পনায় যেতে পারছে না ব্রাজিল। কারণ টানা ইনজুরির সমস্যায় ভুগছেন এই তারকা।
ইনজুরির কারণে দিনের পর দিন মাঠের বাইরে কাটাতে হয়েছে নেইমারকে। বড় ইনজুরি নিয়ে ছিটকে পড়তে পারেন এমন শঙ্কা নিয়েও সম্প্রতি মাঠে নামেন তিনি। সান্তোসকে ব্রাজিলের শীর্ষ লিগে টিকিয়ে রাখতে দারুন অবদান রাখেন হ্যাটট্রিক করে।
ব্রাজিলিয়ান সিরি আ মৌসুমের শেষ দিকে সান্তোসের হয়ে ৪ ম্যাচে ৫ গোল করেছেন, একটি গোল করিয়েছেন নেইমার। রেলিগেশনের শঙ্কায় থাকা দলটি তার পারফরম্যান্সে ভর দিয়ে টিকে গেছে শীর্ষ লিগে।

কিন্তু বিশ্বকাপ খেলার জন্য পূর্ণমাত্রায় ফিটনেস ফিরে পেতে হবে। সেজন্য হাঁটুর অস্ত্রোপচার করানো লাগতে পারে যা লম্বা সময়ের প্রক্রিয়া। এজন্য এবার নেইমার শরণাপন্ন হচ্ছেন ফিজিওথেরাপিস্ট এদুয়ার্দো সান্তোসের, যাকে সবাই ‘ডক্টর মিরাকল’ বলেই ডাকেন।
এদুয়ার্দোর নামের সাথে ‘মিরাকল’ যোগ হওয়ার পেছনে যথেষ্ট কারণ আছে। প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতির বাইরে গিয়ে অনেক রোগীকেই সুস্থ করে তুলেছেন তিনি। ফুটবলে তার চিকিৎসায় ‘বিস্ময়করভাবে’ সেরে ওঠার অন্যতম উদাহরণ ডেভিড লুইজ।
২০১৫ সালে ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার লুইজ ইনজুরি নিয়ে ৮/১০ সপ্তাহের জন্য ছিটকে যান। কিন্তু এদুয়ার্দোর চিকিৎসায় অলৌকিকভাবে ১০ দিন পরই ম্যাচ খেলতে নামেন লুইজ। এছাড়া হাল্ক, অস্কার, কৌতিনিয়ো, ম্যাথিউস কুনহা ও ভ্যান্ডারসনের চিকিৎসায় ‘মিরাকল’ কিছু দেখিয়েছেন তিনি।
এদুয়ার্দো বেলো হরিজন্তের পন্টিফিকাল ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক পাসের পর স্পোর্টস মেডিসিনে স্নাতকোত্তর ও ডক্টরেট করেছেন। চায়নিজ সুপার লিগের দল সাংহাই এসআইপিজির মেডিক্যাল ডিপার্টমেন্টের প্রধান তিনি। নেদারল্যান্ডসের ক্লাব ভিতেসে ও রাশিয়ায় জেনিথের সঙ্গে কাজ করেছেন। বর্তমানে আছেন ইংল্যান্ডে।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩
















