গোলরক্ষকের নৈপুণ্যে ফ্ল্যামেঙ্গোকে হারিয়ে ইতিহাস গড়ল পিএসজি
কাতারের আহমেদ বিন আলি স্টেডিয়ামে বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে অনুষ্ঠিত ফাইনালে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গোকে হারিয়ে ফিফা ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ জিতেছে প্যারিস সেন্ত জার্মেই (পিএসজি)। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় শেষে ম্যাচ ১-১ গোলে সমতায় থাকলেও নাটকীয় টাইব্রেকারে ফ্ল্যামেঙ্গোর স্বপ্ন ভেঙে চ্যাম্পিয়ন পিএসজি ।
ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ হলো ফিফা আয়োজিত একটি আন্তর্জাতিক ক্লাব টুর্নামেন্ট, যেখানে ছয় মহাদেশের ছয়টি কনফেডারেশনের চ্যাম্পিয়ন দল অংশ নেয়। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিশ্ব ফুটবলে কোন ক্লাবটি প্রকৃত অর্থে গ্লোবাল চ্যাম্পিয়ন, তা নির্ধারণ করা হয়।

ম্যাচের শুরু থেকেই পজেশন ও আক্রমণে এগিয়ে ছিল পিএসজি। ৩৮ মিনিটে খাভিচা কাভারাৎসখেলিয়ার গোলে তারা লিড নেয়। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ৬২ মিনিটে মার্কিনিয়োসের ফাউলে পাওয়া পেনাল্টি থেকে গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান ফ্ল্যামেঙ্গোর মিডফিল্ডার জর্জিনহো। এরপর নির্ধারিত ও অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে দুই দলই চেষ্টা করলেও আর কোনো গোল হয়নি।

এরপর ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে শুরু থেকেই নাটকীয়তা দেখা যায়। উভয় দল নিজেদের প্রথম শটে গোল করতে সক্ষম হয়। তবে দ্বিতীয় শটে ফ্ল্যামেঙ্গোর সাউল নিগেসের শট ডানদিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন পিএসজির গোলরক্ষক মাতভেই সাফোনভ। একই শটে পিএসজির উসমান দেম্বেলে বল উড়িয়ে মারায় সমতা ফেরে উত্তেজনা।
ফ্ল্যামেঙ্গোর দ্বিতীয় শুটার পেদ্রোর শটও দারুণ দক্ষতায় রুখে দেন সাফোনভ। এরপর নুনো মেন্দেসের সফল শটে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় পিএসজি। যদিও পিএসজির তৃতীয় শটটি ফ্ল্যামেঙ্গোর গোলরক্ষক ঠেকিয়ে দেন, তবে সাফোনভ নিজের দৃঢ়তা বজায় রাখেন। লিও পেরেইরা ও লুইস আরাউহোর শট পরপর রুখে দিয়ে পিএসজির শিরোপা নিশ্চিত করেন এই রুশ গোলরক্ষক।
এই জয়ের মধ্য দিয়ে ২০২৫ সালে ষষ্ঠ ট্রফি জয়ের কীর্তি গড়ল লুইস এনরিকের দল। এর আগে তারা ফরাসি সুপার কাপ, লিগ আঁ, ফরাসি কাপ, প্রথমবারের মতো উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও উয়েফা সুপার কাপ জেতে। বছরের শেষ প্রান্তে এসে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ জয় পিএসজির সাফল্যময় মৌসুমকে এনে দেয় পরিপূর্ণতা।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩


















