লিভারপুলে এখন সব আলোচনার কেন্দ্রেই মোহাম্মদ সালাহ। ক্লাবের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করায় তার চারপাশে তৈরি হয়েছে অস্বস্তি। এর ফলও মিলল দ্রুতই। বেইন স্পোর্টস নিশ্চিত করেছে, চ্যাম্পিয়নস লিগে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাকে স্কোয়াডেই রাখা হয়নি।
কোচ স্লট সংবাদ সম্মেলনে স্পষ্ট বলেন, সালাহর মন্তব্য তাকে বিব্রত করেছে। একই সঙ্গে ইঙ্গিত দিয়েছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সালাহর ফেরায় বাধা নেই। তবে আপাতত সিদ্ধান্ত কঠোরই।
সবশেষ তিন ম্যাচে সালাহকে বেঞ্চেই বসিয়ে রেখেছেন লিভারপুল কোচ আর্না স্লট। সবশেষ গত শনিবার লিডস ইউনাইটেডের সঙ্গে ৩-৩ ড্র ম্যাচেও খেলার সুযোগ পাননি তিনি।
ম্যাচের পর জমে থাকা ক্ষোভ উগড়ে দেন এই তারকা। কোনোরকম রাখঢাক না করেই ইঙ্গিত করেন কোচের সঙ্গে তার সম্পর্কে চিড় ধরার দিকে। বলেন, দলে ‘কেউ একজন চায় যেন সব দোষ আমার ওপর পড়ুক।’
দলের ভেতরেও বিষয়টি ভালোভাবে গ্রহণ করা হয়নি। গোলরক্ষক আলিসন বেকার বলেন, ‘এটা দলের জন্য কঠিন সময়। সালাহ দীর্ঘদিনের সতীর্থ, ভালো মানুষও। কিন্তু এই পরিস্থিতি আমাদের কারও জন্যই সুখকর নয়। এখন মাঠের দিকেই মনোযোগ দিতে হবে।’ তবে বন্ধুত্ব থাকা সত্ত্বেও তিনি মনে করেন, সিদ্ধান্তটি ন্যায়সঙ্গত, ‘সে যা করেছে, তার ফলই এখন ভুগছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে, কিন্তু দায়ও নিতে হবে।’
অন্যদিকে মাঠের পারফরম্যান্সও সালাহর পক্ষে কথা বলছে না। প্রিমিয়ার লিগে ১৯ ম্যাচে মাত্র ৫ গোল করেছেন তিনি। তাই লিগের শেষ তিন ম্যাচে একাদশে জায়গা হয়নি। এর ঠিক পরেই তিনি অভিযোগ তুলেছেন যে তাকে ‘বলির পাঁঠা’ বানানো হচ্ছে।
লিভারপুলের মৌসুম আগেই চাপের মধ্যে ছিল। তার ওপর ক্লাবের সবচেয়ে বড় তারকাকে ঘিরে এই উত্তেজনা দলকে আরও বড় পরীক্ষায় ফেলেছে। এখন প্রশ্ন একটাই, এই ঝড় থেমে সালাহ ও লিভারপুলের সম্পর্ক কি আবার আগের জায়গায় ফিরতে পারবে?
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩











