আজ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) মিনি নিলামে বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২৫ কোটি ২০ লাখ রুপিতে বিক্রি হয়েছেন ক্যামেরন গ্রিন। তবে অস্ট্রেলিয়ার এই অলরাউন্ডার পাবেন ১৮ কোটি রুপি। কলকাতা নাইট রাইডার্স কিনেছে গ্রিনকে। তিনি ছাড়াও বেশ কিছু ক্রিকেটার এই নিলামে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন।
মিনি নিলামে এবার কলকাতা নাইট রাইডার্সই (কেকেআর) মূলত আলোড়ন তুলেছে। তারা বাংলাদেশি কোনো ক্রিকেটার হিসেবে মোস্তাফিজুর রহমানকে রেকর্ড ৯ কোটি ২০ লাখ রুপিতে দলে নেয়। এছাড়া শ্রীলঙ্কার গতিধর পেসার মাথিশা পাথিরানাকে নিয়েছে ১৮ কোটি রুপিতে। দিল্লি ও লক্ষ্ণৌয়ের লড়াইয়ে ১৬ কোটি রুপি দাম ওঠার পর তাকে ছিনিয়ে নেয় কেকেআর।

কলকাতা বড় চমক সৃষ্টি করেছে অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিনকে নিতে। ভিত্তিমূল্য ২ কোটি রুপি হলেও তাকে নিতে লড়াই করে কলকাতা, রাজস্থান রয়্যালস ও চেন্নাই সুপার কিংস। শুরুতে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স তাঁকে ভিত্তিমূল্যে ডেকে লড়াইয়ে থাকেনি। পরে কলকাতা ও রাজস্থান লড়াইয়ে নামে। তাদের হাঁকডাকে গ্রিনের দাম ওঠে ১৩ কোটি ৬০ লাখ রুপি। তারপর রাজস্থান সরে যায় এবং কলকাতাকে ঠেকাতে অংশ নেয় চেন্নাই। তবে কলকাতার সাথে পেরে ওঠেনি তারাও।
যদিও আইপিএল কর্তৃপক্ষের নতুন নিয়ম অনুযায়ী মিনি নিলামে বিদেশি খেলোয়াড় সর্বোচ্চ ১৮ কোটি রুপি পারিশ্রমিক পাবেন। এরচেয়ে বেশি দাম উঠলে বাকি অর্থ যাবে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) খেলোয়াড় কল্যাণ তহবিলে। তাই গ্রিনের দাম ২৫ কোটি ২০ লাখ উঠলেও তিনি পাবেন ১৮ কোটি রুপি। বাকি ৭ কোটি ২০ লাখ রুপি যাবে বিসিসিআইয়ের কোষাগারে।

গতবার ভারতীয় অলরাউন্ডার ভেংকটেশ আইয়ারকে ২৩ কোটি ৭৫ লাখ রুপি দিয়ে কিনে হইচই ফেলেছিল কলকাতা। এবার সেই ভেংকটেশের দরপতন হয়েছে, তাকে মাত্র ৭ কোটি রুপিতে নিয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।
অস্ট্রেলিয়ার উইকেটকিপার জশ ইংলিসকে ৮ কোটি ৬০ লাখ রুপিতে কিনেছে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। চারটি দল নেমেছিল ইংলিশ অলরাউন্ডার লিয়াম লিভিংস্টোনকে দলে নেওয়ার লড়াইয়ে। কলকাতা, গুজরাট ও লক্ষ্ণৌকে পেছনে পেলে তাঁকে ১৩ কোটি রুপিতে নিয়েছে হায়দরাবাদ।
অথচ নিউজিল্যান্ডের ডেভন কনওয়ে ও অস্ট্রেলিয়ার তরুণ জেক ফ্রেজার–ম্যাগার্ককে কিনতে আগ্রহ দেখায়নি কেউ।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩














