কেউই অপরাজেয় নয় কথাটি আবারো প্রমানিত হল। টানা আট ম্যাচ অপরাজিত থাকার পরে অবশেষে হারলো রংপুর রাইডার্স। নবম ম্যাচে এসে রংপুরের জয়রথ থামাল দুর্বার রাজশাহী। রায়ান বার্লের বোলিং ঝড়ে আটকে গেল রাইডার্সরা।
চট্টগ্রামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭০ রান সংগ্রহ করে রাজশাহী। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১৯ ওভার ২ বলে ১৪৬ রানে অলআউট হয়ে যায় রংপুর.
১৭১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি রংপুর। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ঘরে ফেরেন ইরফান শুক্কুর। তাসকিন আহমেদের বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। সুবিধা করতে পারেননি ওপেনার স্টেভেন টেইলরও। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৪ রান। চারে নেমে গোল্ডেন ডাক মেরেছেন ইফতিখার আহমেদ। ১৫ রানে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারিয়েই মূলত ম্যাচ থেকে ছিটকে পরে রাইডার্সরা।
পরে দলের হয়ে সাইফ হাসান ও খুশদিল শাহ কিছুটা সামলান উইকেট হারানোর ঝড়। তবে ১৪ রান করে ঘরে ফিরে যান তিনিও। এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং ঠিক করার চেষ্টা করেন সাইফ। ৪৩ রানে থেমে যায় তার ইনিংসও।
টপ অর্ডারদের ব্যর্থতার দিনে নুরুল হাসান সোহান-মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনরা কিছুটা চেষ্টা চালিয়ে যান। অধিনায়ক সোহান করেছেন ২৬ বলে ৪১ রান। আর সাইফউদ্দিনের ব্যাট থেকে এসেছে ১৪ বলে ২৩ রান। সব মিলিয়ে হার মানতে হল রংপুরের। রাজশাহীর হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট নেন রায়ান বার্ল। ৪ ওভার করে ২২ রান দিয়ে তুলে নেন ৪ উইকেট।
এর আগে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে দারুণ ব্যাটিং করেছে রাজশাহীর টপ অর্ডার। সাব্বির হোসেন-এনামুল হক বিজয়ের গড়ে দেওয়া শক্ত ভিতে পরে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন ইয়াসির আলী রাব্বি।
আসরজুড়ে ধারবাহিক বিজয় করেছেন ৩১ বলে ৩৪ রান। সাব্বিরের করেছেন ১৯ বলে ৩৯ রান। আর ইয়াসির ৩২ বলে করেছেন ৬০। রংপুরের হয়ে ৩ টি করে উইকেট শিকার করেছেন আকিফ জাভেদ ও খুশদিল শাহ।