বিপিএল নিলাম পিছিয়েছে
আগামী ১৯ নভেম্বর মিরপুরে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে। আর সে কারণেই আসন্ন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ – বিপিএল নিলাম পিছিয়েছে । টি-টোয়েন্টি আসরের নিলাম দুই দফা পিছিয়ে ২৩ নভেম্বর আয়োজন করবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যদিও ওই দিনই মিরপুর টেস্টের পঞ্চম দিন। তবে নিলাম বেলা ১১টায় শুরু হয়ে রাত পর্যন্ত চলবে। বিসিবি আজ রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিপিএল নিলামের নানা দিক সম্পর্কে জানিয়েছে।
২০১২ ও ২০১৩ সালের পর আবার নিলাম পদ্ধতি ফিরে আসছে বিপিএলে। আর তাই নতুন করে বাড়তি এক আগ্রহ তৈরি হয়েছে এটি নিয়ে। ২৩ নভেম্বর সকাল ১১টায় রাজধানী ঢাকার এক ৫ তারকা হোটেলে শুরু হবে নিলাম। প্রথমে নিলামের সম্ভাব্য তারিখ ছিল ১৭ নভেম্বর। পরে জানা যায় সেটি ২১ নভেম্বর হবে। এখন আরও ২ দিন পেছানো হলো।
নিলামের বিভিন্ন নিয়মাবলী জানিয়ে দিয়েছে বিসিবি। সেই নিয়ম অনুসারে নিলাম থেকে কমপক্ষে ১১ জন দেশি এবং ২ জন বিদেশি প্লেয়ার নিতে হবে প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে। আর নিলামের আগেই যেহেতু ২ জন করে দেশি ও বিদেশি প্লেয়ার নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে তাই অন্তত ১৩ দেশি ও ৪ বিদেশি প্লেয়ার থাকতে হবে একটি দলে।
সবমিলিয়ে সর্বোচ্চ ১৫ দেশি ও যত খুশি বিদেশি প্লেয়ার নেওয়া যাবে। যথাযথ কারণ দেখিয়ে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের অনুমতি সাপেক্ষে যখন-তখন প্লেয়ার পরিবর্তন করা কিংবা দলে নেওয়া যাবে নিলাম হয়ে যাওয়ার পরেও। ইতোমধ্যেই অবশ্য এবার বিপিএলে অংশ নিতে যাওয়া ৫ দল ২ জন করে দেশি ক্রিকেটারকে দলে ভিড়িয়েছে। কয়েকটি দল আবার বিদেশি ক্রিকেটারকে নেওয়া ও নিশ্চিত করে রেখেছে।
নিলামে বিদেশি প্লেয়ারদের “এ” থেকে “ই” পর্যন্ত গ্রেড করা হয়েছে নির্ধারিত ভিত্তিমূল্যে। সর্বোচ্চ ৩৫ হাজার ডলার ও সর্বনিম্ন ১০ হাজার ডলার ধরা হয়েছে ভিত্তিমূল্য। দেশি ক্রিকেটারদের “এ” থেকে “এফ” পর্যন্ত গ্রেড করা হয়েছে। সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা ও সর্বনিম্ন ১১ লাখ টাকা ধরা হয়েছে গ্রেড ভিত্তিক ভিত্তিমূল্য। দেশি ও বিদেশি উভয় ক্ষেত্রে ভিত্তিমূল্য অনুসারে কোনো প্লেয়ারকে ডাকতে শুরু করলে প্রতি ডাকে কোন গ্রেডে কত করে বাড়িয়ে ডাকা যাবে সেটিও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
দেশি ক্রিকেটারদের ৬টি গ্রেডের প্রতিটি থেকেই প্লেয়ার নেওয়া বাধ্যতামূলক। সর্বনিম্ন কয়জনকে একটি গ্রেড থেকে বাছতে হবে সেটিও ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে জানিয়ে দিয়েছে বিসিবি। দেশি প্লেয়ার নেওয়ার জন্য সবমিলিয়ে ৪.৫ কোটি টাকা খরচ করতে পারবে প্রতিটা ফ্র্যাঞ্চাইজি। আর বিদেশি ক্রিকেটার নিতে হবে ৩ লাখ ৫০ হাজার ডলারের মধ্যে।
