এক যুগেরও বেশি সময় পরে আবারও যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাথে যুক্ত হলেন বাংলাদেশের কিংবদন্তী ফুটবল খেলোয়াড় ও ক্রীড়া সংগঠক মোহাম্মদ শফিকুজ্জামান। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এর অধীন যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটিতে সদস্য হিসেবে জায়গা পেলেন তিনি।

যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাথে স্বাধীনতার পর থেকেই জড়িত শফিকুজ্জামান। ছিলেন জেলা দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। সত্তর আশির দশকে অর্থাৎ আবাহনী- মোহামেডানের জয়জয়কারের দিনগুলোতে ঢাকা ফুটবল লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বিজেএমসি (বাংলাদেশ জুট মিলস কর্পোরেশন) দল। ১৯৭৯ সালের সেই চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়ক ছিলেন এই শফিকুজ্জামান। ব্যাপারটা যেন হোসে মরিনহোর ২০০৪ সালের সেই অখ্যাত পোর্তো টিমের চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জেতার মতো কিংবা ২০০৪ সালের সেই গ্রীস দলের মতো যারা ইউরোপের সেরা সব দলকে পাশ কাটিয়ে ইউরো কাপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো।

শফিকুজ্জামানের পরিবারের ইতিহাসটাও রাজনৈতিক ইতিহাস, ক্রীড়া ও সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ। শফিকুজ্জামানের ভাই তারিকউজ্জামান সাবেক হকি খেলোয়াড় ও সংগঠক। তাদের সবার বড় ভাই ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের স্বনামধন্য অধ্যাপক মনিরুজ্জামান । কিংবদন্তি গীতিকার রফিকুজ্জামান তার ভাই। মুক্তিযুদ্ধে তার আরেক ভাই আসাদ শহীদ হয়েছেন। ছেলের জন্য মা রেললাইনের ধারে বসে থাকতেন। সেই মা ও ভাইকে নিয়ে রফিকুজ্জামান লিখেছিলেন কালজয়ী গান, ‘খোকা ফিরবে’। শহিদ আসাদকে নিয়ে যশোরে গড়েছেন আসাদ স্মৃতি ক্লাব। যে ক্লাবের হয়ে বিদেশি অনেক তারকা ক্রিকেটারও খেলেছিলেন। উদ্যম আর উদ্দীপনায় আর ইতিহাসে ভরা এই কিংবদন্তীর জীবন।
প্রসঙ্গত, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ২২ জানুয়ারী যশোর, লালমনিরহাট, পিরোজপুর ও পঞ্চগড় জেলা ক্রীড়া সংস্থার কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। যেখানে যশোরের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন কিংবদন্তী ফুটবলার ও সংগঠক মোহাম্মদ শফিকুজ্জামান।