বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন (বিওএ) দেশের ক্রীড়াঙ্গনের অন্যতম শীর্ষ সংগঠন। বিওএ মহাসচিব পদটি বেশ মর্যাদার ও গুরুত্বের। ১৯৭৬ সালে গঠিত হওয়া অলিম্পিক এসোসিয়েশন ৪৯ বছরে ৭ জন মহাসচিব দেখেছে। আজ বিকেলে বিওএ ভবনে অষ্টম মহাসচিব হিসেবে সাবেক জাতীয় ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় ও ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জোবায়েদুর রহমান রানা মহাসচিবের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
১৯৮০ সাল থেকে বিওএ আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির স্বীকৃতি পেয়েছে। ১৯৭৯-৮১ সালে মোঃ শাজাহান অলিম্পিকের মহাসচিব ছিলেন। এরপর এক দশক এই পদে ছিলেন ক্যাপ্টেন সিদ্দিক আহমেদ। ক্রীড়াঙ্গনে অলিম্পিকের মহাসচিব হিসেবে তার বিশেষ পরিচিতি ছিল। কিংবদন্তী ক্রীড়াবিদ বশির আহমেদ ১৯৯২-৯৬ সাল পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন। তার উত্তরসূরি হন সাবেক ভলিবল খেলোয়াড় ও তৎকালীন ভলিবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক গোলাম কুদ্দুস চৌধুরি। যিনি ক্রীড়াঙ্গনে ভলিবলের বাবু ভাই নামেই বেশি পরিচিত।
তারপর ক্রীড়াঙ্গনের আরেকজন বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক জাফর ইমাম মহাসচিব ছিলেন। এরপর দুই মেয়াদে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও ক্রীড়া সংগঠক কুতুব উদ্দিন আহমেদ দায়িত্ব পালন করেন। কুতুব উদ্দিনের স্থলাষিভিক্ত হন সৈয়দ শাহেদ রেজা। যিনি অলিম্পিকে মহাসচিব পদে সর্বাধিক সাড়ে তের বছর ছিলেন। আজ তার স্থলাষিভিক্ত হয়েছেন জোবায়েদুর রহমান রানা।
দুই দশক পর অলিম্পিকের মহাসচিব পদে ফিরলেন সাবেক জাতীয় খেলোয়াড়। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে ক্রীড়া ফেডারেশনগুলোতে রদবদল হয়েছে। এক পক্ষের অনুপস্থিতিতে আরেক পক্ষ দায়িত্ব নিয়েছে অধিকাংশ ক্ষেত্রে। অলিম্পিক এসোসিয়েশনে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায়ী মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা নতুন মহাসচিব রানার কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছেন।
বিওএ ভবনে বিকেলে দায়িত্ব হস্তান্তরের আগে দুপুরে ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিওএ’র সম্মানিত সভাপতি এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, এসবিপি, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি। অতঃপর বিদায়ী কার্যনির্বাহী কমিটি নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির নিকট দায়িত্বভার হস্তান্তর করেন। গত ৩০ নভেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
