আবার আইসিসির প্লেয়ার অব দ্য মান্থ পুরস্কারে মনোনয়ন পেলেন বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটার। বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম নভেম্বর মাসের সেরা হিসেবে ৩ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার অফস্পিনার সাইমন হারমার ও পাকিস্তানের বাঁহাতি স্পিনার মোহাম্মদ নওয়াজ।
বাংলাদেশের হয়ে প্লেয়ার অব দ্য মান্থ পুরস্কার পেয়েছেন মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান ও মেহেদি হাসান মিরাজ। ২০২১ সালের মে মাসে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে মুশফিকে এই পুরস্কার পান। সাকিব দুইবার এই পুরস্কার পান। সর্বশেষ এ বছর এপ্রিলে মিরাজ প্লেয়ার অব দ্য মান্থ হয়েছেন।
বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল গত মাসে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই টেস্টে ২৬.৩০ গড়ে ১৩ উইকেট নেন। ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয়ে শীর্ষ উইকেটশিকারি ছিলেন তিনি। সিলেটে ৫ উইকেট নেওয়ার পর মিরপুরে ২ ইনিংসেই চারটি করে উইকেট নেন তাইজুল এবং সিরিজ সেরাও হন।
দক্ষিণ আফ্রিকার অফস্পিনার হারমার ভারতের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের নায়ক। ২৫ বছরে প্রথমবার এশিয়াতে প্রোটিয়াদের জয়ে অসামান্য অবদান রাখেন তিনি। মাত্র ৮.৯৪ গড়ে ২ টেস্টে ১৭ উইকেট নেন তিনি। কলকাতায় ৮টি ও গুয়াহাটিতে ৯টি উইকেট নেন হারমার। সিরিজের সেরাও হয়েছেন হারমার।
পাকিস্তানের নওয়াজ শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখান। ৫২ রান করার পাশাপাশি ১২.৭২ গড়ে ১১ উইকেট নিয়েছেন তিনি। হয়েছেন সেরা খেলোয়াড়। তার আগে, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ৫২ গড় ও ১১৪.২৮ স্ট্রাইক রেটে ১০৪ রান করেন ও ৪ উইকেট নেন।

মেয়েদের নভেম্বর মাসে সেরা হওয়ার দৌড়ে আছেন আরব আমিরাতের ইশা ওজা, ভারতের শেফালি ভার্মা ও থাইল্যান্ডের থিপাচা পুথাওং। ভোটাভুটির পর বিজয়ী নির্ধারণ হবে। এজন্য আছে আইসিসি ভোটিং একাডেমি। ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভোট দেওয়া যাবে।
আইসিসি ভোটিং একাডেমিতে বিভিন্ন দেশের সাংবাদিক, ধারাভাষ্যকার, সাবেক ক্রিকেটার ও আইসিসি হল অব ফেম থেকে মোট ২৩ জনকে রাখা হয়েছে। তাদের ভোট ৯০ শতাংশ হিসেবে বিবেচিত হবে। বাংলাদেশের সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রনি ও ধারাভাষ্যকার মাজহারউদ্দিন অমি আছেন এই একাডেমিতে। আইসিসি ওয়েবসাইটে ভক্ত-সমর্থকদের ভোট ১০ শতাংশ।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩











